আইন-আদালত

প্রিন্স মুসার আইন উপদেষ্টা পরিচয়দানকারী সেই ভুয়া অতিরিক্ত সচিব রিমান্ডে

  প্রতিনিধি ২৮ অক্টোবর ২০২১ , ৬:৩৫:১৩ প্রিন্ট সংস্করণ

  মুসা বিন শমসেরের (প্রিন্স মুসা) আইন উপদেষ্টা ও জনপ্রসাশন মন্ত্রণালয়ের ভুয়া অতিরিক্ত সচিব পরিচয়দানকারী আব্দুল কাদের। পুরোনো ছবি

ভোরের দর্পণ ডেস্ক:

আলোচিত ধনকুবের মুসা বিন শমসেরের (প্রিন্স মুসা) আইন উপদেষ্টা ও জনপ্রসাশন মন্ত্রণালয়ের ভুয়া অতিরিক্ত সচিব পরিচয়দানকারী আব্দুল কাদেরের পৃথক দুই মামলায় সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর হাতিরঝিল থানার মামলার একটিতে ৪ দিন এবং অপর মামলায় ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ঢাকা মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলাম।

জলসিঁড়ি প্রকল্পের ওয়ার্ক অর্ডার পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ৪০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মনির হোসেন নামে এক ঠিকাদার একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটিতে তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই (নিরস্ত্র) আশরাফুল ইসলাম আসামির ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। অন্যদিকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব পরিচয়ে একটি কাজ পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণা করে ১২ লাখ ১৫ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আরেকটি মামলা করেন জয়নাল আবেদীন বাবু নামে আরেক ব্যক্তি।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আব্দুল কাদেরের পক্ষে তার আইনজীবী তরিকুল ইসলাম রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত এক মামলা চারদিন এবং আরেক মামলায় তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। শুনানিকালে কাদেরকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।

এর আগে গত ৮ অক্টোবর আব্দুল কাদেরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর পল্লবী থানার অস্ত্র মামলায় তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এরপর রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার প্রতারণার একটি মামলায় গত ১৩ অক্টোবর ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। রিমান্ড শেষে গত ১৭ অক্টোবর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল।

মামলায় বলা হয়, আব্দুল কাদের একজন আন্তর্জাতিক সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। তিনি নিজেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব পরিচয় প্রদান করে এবং তার ব্যবহৃত গাড়িতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের স্টিকার ব্যবহার করে থাকেন। মানুষকে লোন পাস করে দেওয়ার কথা বলে এবং ফ্ল্যাট বিক্রির কথা বলে কোটি কোটি টাকা প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেন। তার অফিসে লোকজন আসলে লাখ টাকার বিনিময়ে দেখা করতে হয়। তিনি ওয়াকিটকি ব্যবহার করে পিছনে বডিগার্ড নিয়ে চলেন এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে ছবি তুলে তা প্রদর্শন করে নিজেকে সিআইপি হিসেবে দাবি করেন। মামলায় আব্দুল কাদেরের স্ত্রী সততা প্রোপার্টিস লিমিটেডের এর চেয়ারম্যান ছোয়া এবং ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম আসামি রয়েছেন।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by