বাংলাদেশ

ফারদিনের মৃত্যু শেষ খবর ,আত্নহত্যা করেছে ফারদিন

  প্রতিনিধি ১৪ ডিসেম্বর ২০২২ , ৮:৩৩:৫৯ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক :

বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ হতাশা ও টাকার জন্য নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছেন ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিবিপ্রধান।

তিনি বলেন, ফারদিন চারটা টিউশনি করতেন। সব টাকা দিয়ে নিজের ও ছোট দুই ভাইয়ের পড়াশোনার খরচ চালাতেন। নিজের জন্য কিছু করতেন না। তারপরও বাড়ি ফেরার চাপ ছিল পরিবার থেকে। হলে থাকতে দেবে না। এ নিয়ে এক ধরনের চাপের মধ্যে ছিলেন, যা তিনি মানতে পারেননি।

ঘটনার দিন ফারদিন নূর পরশের গতিবিধির বিষয়ে ডিবিপ্রধান বলেন, তার দুটি নাম্বারে ‘বি-পার্টি’ ছিল সর্বমোট ৫২২টি। ওইদিন রাতে তিনি যেখানে যেখানে ঘুরেছেন, তার সেলফোনে কোনো বি-পার্টি আমরা সার্চ করে পাইনি একই অবস্থানে। তিনি যেভাবে উন্মাদের মতো ঘুরে বেড়িয়েছেন তাতে প্রতীয়মান হয়, মানসিকভাবে ফারদিন ডিস্টার্ব ছিলেন। কারও সঙ্গে ওইদিন রাতে দেখা করেননি। তিনি বাবুবাজার ব্রিজ টার্গেট করেন। রাত ১০টা ৫৩ মিনিট থেকে ১১টা ৯ মিনিট- এই সময় বাবুবাজার ব্রিজ অনেক ব্যস্ত থাকায় সম্ভবত তিনি ওখান থেকে পিছপা হন। নিজের সঙ্গে নিজে কথা বলে সময় নেন। এরপর আবার নিজের বাসা অতিক্রম করে ডেমরা সেতুতে যান। সর্বশেষ তার গ্রামীণ নাম্বারের আইপিডিআর-এ তার অবস্থান সেতুর ওপর অনুমান করা হয়।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের আত্মহত্যার আগে সারারাত ঢাকা শহরের বিভিন্ন প্রান্তে একা একা ঘুরে বেড়ানোর প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ফারদিন একা একা ঘুরে বেড়িয়েছেন উদ্দেশ্যহীনভাবে। বুশরাকে রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে নামানোর পর উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরে বেড়িয়েছেন এবং কারও সঙ্গে দেখা করেননি। তার গত ১ বছরের সিডিআর পর্যালোচনা করলে পূর্বে কখনো এমন দেখা যায়নিফারদিনের বান্ধবী ইফাত জাহান মুমুর কথোপকথনের প্রসঙ্গ তুলে ডিবি প্রধান বলেন, ফারদিনের বান্ধবী ইফাত জাহান মুমুর সঙ্গে মেসেঞ্জার এবং টেলিগ্রামে অনেক কথোপকথন রয়েছে, যেখানে ফারদিন তার হতাশার কথা ব্যক্ত করেছেন বহুবার। মুমুর ভাষ্যমতে ফারদিন হতাশাগ্রস্ত ছিলেন। তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন বলে মনে করেন মুমু। ফারদিন সাঁতার জানতেন না বলেও জানান তিনি।

 

ফারদিনের মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে, ময়নাতদন্তের আগে গণমাধ্যমের এমন প্রতিবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে ডিবিপ্রধান বলেন, যেসব চিকিৎসক ময়নাতদন্ত করেছেন তাদের সঙ্গে আমরা অনেকবার যোগাযোগ করি। ভিসেরা রিপোর্ট এখনো আসেনি। আসলে পূর্ণাঙ্গ মতামত তারা দেবেন। প্রাথমিকভাবে যেটা দিয়েছেন সেখানে মাথায় আঘাতের কথা বলা আছে। কিন্তু খুবই সামান্য আঘাত, যেটাতে নিশ্চিত (মৃত্যু) হবে না বলে মৌখিকভাবে জানান। এই আঘাতে সর্বোচ্চ অজ্ঞান হতে পারে মর্মে জানান। যদিও মিডিয়ার সামনে বলে ফেলেছেন মাথায় অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন আছে। অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন থাকলে পুলিশের সুরতহাল রিপোর্টে উঠে আসতো। সুরতহাল রিপোর্টে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তার কাপড়েও কোনো ছেঁড়া চিহ্ন ছিল না

আরও খবর

Sponsered content

Powered by