রংপুর

ফুলবাড়ীতে দপ্তরীকে মারধর

  দিনাজপুর ,ফুলবাড়ী প্রতিনিধি ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ৪:৪৫:৪১ প্রিন্ট সংস্করণ

ফুলবাড়ীতে দপ্তরীকে মারধর

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী চাঁদাপাড়া সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইমদাদুল হক কর্তৃক দপ্তরী আসাদুল আলমকে মারধর করার অভিযোগে বিদ্যালয় চত্ত্বরে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ। দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রধান শিক্ষককে প্রত্যাহারের দাবি করেন বিক্ষোভকরীরা। তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করলেন প্রধান শিক্ষক।

দপ্তরী আসাদুল আলম জানান, আমি ১০ বছর যাবৎ এই বিদ্যালয়ে দপ্তরী হিসাবে কাজ করে আসছি। বর্তমান প্রধান শিক্ষক প্রথম দিন থেকে আমাকে সহ্য করতে পারেন না। যেকোন অজুহাতে সে আমার সাথে খারাপ আচরণ করে থাকে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এর প্রত্যয়ন ছাড়া আমাদের বেতন হয় না। প্রতি মাসে তার কাছে প্রত্যায়ন নিতে গেলে সে এখন না পরে। আজ না কাল বলে ঘুরায়। যার কারনে প্রতি মাসে আমি আমার বেতন তুলি মাসের শেষে। আজ (৩ সেপ্টেম্বর) রবিবার সকাল ১১টায় বিদ্যায়ের প্রধান শিক্ষককের কাছে প্রত্যয়ন নিতে গেলে সে আগের মতো আচরণ খারাপ করেন। আমি বিষয়টি জানতে চাইলে সে উপস্থিত সহকারী শিক্ষকদের সামনে আমাকে হাত ও লাঠি দ্বারা বেধড় মারধর করেন। এলাকার মানুষ জানতে পেরে শিক্ষকের অপসারণ ও শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেন।

এদিকে দপ্তরী আসাদুল আলমকে মারধরের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক ইমদাদুল হক কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্য বলে দাবি করেন। তিনি আরোও বলেন সে আমার কাছে প্রত্যয়ন নিতে আসলে আমি তাকে দিয়ে দেই। অতঃপর সে আমার ঘাড়ে একটা থাপ্পড় মারে চলে যায়।

প্রধান শিক্ষক ও দপ্তরীর বিবাদের বিষয়ে বিদ্যালয়ে পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর মোঃ মখলেসুর রহমান বলেন, দপ্তরীকে মারপিট করা হয়েছে এবং বিদ্যালয়ের সামনে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ চলছে জানতে পেরে আমি ঘটনাস্থলে আসি এবং উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করি। শিক্ষা অফিসার ছুটিতে থাকায় সহকারী শিক্ষা অফিসার আতিকুর রহমান ঘটনাস্থলে আসে এবং সেখানে থাকা বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন যে, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোছাম্মৎ হাসিনা ভুইয়া উপস্থিত হয়ে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবেন এমন আশ^াস পেয়ে এলাকাবাসী ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। এসময় ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাজেদুর রহমান,সাবেক কাউন্সিলর বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম,চাঁদাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বাবু সুরঞ্জিত চন্দ্রসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপসস্থিত ছিলেন।

এদিকে প্রধান শিক্ষকের নামে কোন প্রকার সংবাদ প্রকাশ যাতে না হয়ে সে জন্য এক শিক্ষক কর্তৃক সাংবাদিকদের সাথে সমঝতা করার চেষ্টা করা হলে অধিকাংশ সাংবাদিক তা প্রত্যাখান করেন।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by