বাংলাদেশ

বঙ্গবাজারে আগুন লাগার উৎস জানে না ফায়ার সার্ভিস

  প্রতিনিধি ৫ এপ্রিল ২০২৩ , ৪:১৮:০৪ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক :

রাজধানীর বঙ্গবাজারে কীভাবে আগুন লেখেছিল, তা এখনো জানতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। গতকাল মঙ্গলবার সকালে লাগা ওই আগুনে বহু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সব মিলিয়ে অন্তত ৫ হাজার দোকান পুড়ে গেছে। নিঃস্ব হয়েছে হাজার হাজার মানুষ।

গতকাল সকাল ৬টা ১০ মিনিটের দিকে আগুনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। ৫০টি ইউনিটের চেষ্টায় দুপুর ১২টা ৩৬ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে দাবি করেন ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন।

ওই ঘোষণা দেওয়ার ২৪ ঘণ্টা পরও বঙ্গবাজারে এখনো আগুন জ্বলছে। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বঙ্গবাজার এনেক্সকো ভবনের সামনে এক ব্রিফিংয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আগুনের প্রকৃত উৎস আমরা এখনো খুঁজে বের করতে পারিনি। মালামাল বের করতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, এখনো কোথাও কোথাও আগুন জ্বলছে, ধোঁয়া হচ্ছে। পুরোপুরি নেভাতে না পারলেও আগুন সম্পর্ণরূপে আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’

ঘটনাস্থলে এখনো ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা কাজ করছেন জানিয়ে পরিচালক আরও বলেন, ‘ঘটনাস্থলে এখনো ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট কাজ করছে। আমাদের পানির স্বল্পতা রয়েছে। কাছাকাছি পর্যাপ্ত পানি না পাওয়ার কারণেও আগুন নেভাতে দেরি হচ্ছে। তবে আমরা আশা করি, আজকের মধ্যে আগুন পুরোপুরি নেভাতে পারব।’

ফায়ার সার্বিসের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের ফায়ার ফাইটারা রাত-দিন কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিটি জায়গায় তারা অবস্থান করছে। ভবন থেকে মালামাল বের করতে তারা সর্বোচ্চ সহযোগিতা করছে। সব মালামাল বের করতে পারলেই আমরা আগুন সম্পর্ণ নিয়ন্ত্রণে নিতে পারব।’

জানা যায়, ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে বড় আয়ের স্বপ্ন নিয়ে অপেক্ষা করেন এখানকার ব্যবসায়ীরা। দেশের ব্যবসায়ীদের কাপড়ের বড় অংশ এই মার্কেট থেকেই পাইকারি বিক্রি করা হয়। পাইকারির পাশাপাশি খুচরা বিক্রিও চলে মার্কেটে। যেহেতু রমজান মাস, তাই কাপড়ের বড় লট গুদাম ভর্তি করে রেখেছিলেন ব্যবসায়ীরা। আগুনে সব পুড়ে গেছে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by