বাংলাদেশ

বাজারে নজরজারি বাড়ানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

  প্রতিনিধি ১১ অক্টোবর ২০২২ , ৫:৪৯:২৯ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্কঃ

দেশে এক যুগের মধ্যে মূল্যস্ফীতি সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। এ অবস্থায় সকলকে ব্যয়ে সংযমী হতে এবং সংশ্লিষ্টদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে নজরদারি বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। আজ মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেকের সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনার কথা তুলে ধরেন তিনি।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, গত আগস্টে দেশে মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৫২ শতাংশে উঠেছিল, সেপ্টেম্বরে তা কমে ৯ দশমিক ১ শতাংশে নেমেছে। একনেক সভায় আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি উপস্থাপন করেছি। প্রধানমন্ত্রী আগে থেকে এসব বিষয়ে অবগত। নিত্য পণ্যের বাজার যেন আর চড়া না হয়, সে জন্য বাজারে নজরদারি জোরদার করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, এটা নির্বাহীভাবে করা যায় অথবা পলিসিতেও করা যায়। কেউ যেন কোথাও বেশি মজুতদারি না করতে পারে সেদিকেও নজর দিতে হবে। সামনের দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী সকলকে সঞ্চয়ের পরামর্শও দিয়েছেন; প্রকল্পের ক্ষেত্রে সাশ্রয়ী ও মিতব্যয়ী হতে বলেছেন।

পরিকল্পনা কমিশনের সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগ করে যাচাই-বাছাইয়ের পর যেন প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়, সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়েছেন বলে মন্ত্রী জানান।

অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের ‘বাজারে নজরদারি জোরালো’ মন্তব্য করে মান্নান বলেন, খাদ্য সংকট মোকাবেলায় অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়াতে হবে। কৃষির উপর আরো জোর দিতে হবে। যেখানে যত অনাবাদি জমি আছে, সব জায়গায় কৃষি উৎপাদন করতে হবে। বৈদ্যুতিক উপকরণ, বীজ, সার-পানি-কীটনাশক এসব সরবরাহ বাড়ানো হবে।

পকিল্পনামন্ত্রী জানান, চলতি অর্থবছরের তিন মাসে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন হয়েছে ৯ দশমিক ৪৩ শতাংশ।  এ সময় মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো ব্যয় করেছে ২৪ হাজার ১৪৭ কোটি টাকা। গত অর্থবছর একই সময়ে এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছিল ৮ দশমিক ২৬ শতাংশ। ওই সময় খরচ হয়েছিল ১৯ হাজার ৫৬৯ কোটি টাকা।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেশের সার্বিক অর্থনীতি নিয়ে একনেক সভায় একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে আমরা শঙ্কার মধ্যে আছি। কিন্তু এখনও দেশের অর্থনৈতিক সূচকগুলো ভালো অবস্থানে আছে।

গত তিন মাসে দেশে রেমিটেন্স গত অর্থবছরের তিন মাসের তুলানায় বেশি এসেছে। এছাড়া রপ্তানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৩৮ শতাংশ, যা গত অর্থবছরের প্রথম ৩ মাসে ছিল ১১ শতাংশ।

সরকারি পরিকল্পনা অনুযায়ী আমদানি কমে হয়েছে ১৬ দশমিক ৯২ শতাংশ, যা আগের অর্থবছরেও আমদানি বেড়েছিল ৪৫ শতাংশ সরকারি বিদেশি বিনিয়োগ গত ৩ মাসে বেড়ে হয়েছে ৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ, গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ২ দশমিক ৫ শতাংশ।

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকারি পরিকল্পনা মতো মুদ্রা সরবরাহ কমে হয়েছে ৮ দশমিক ১ শতাংশ, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১১ দশমিক ৬ শতাশ। বেসরকারি ঋণ প্রবাহ বেড়ে হয়েছে ১৪ শতাংশ, যা আগের অর্থবছরের ৩ মাসে ছিল ৮ শতাংশ। পরিকল্পনা মতো গত ৩ মাসে সরকারি ঋণ প্রবাহ কমে হয়েছে ৪ হাজার ৯৫০ কোটি টাকা, যা গত অর্থবছর একই সময়ে ছিল ৫ হাজার ১০৮ কোটি টাকা।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা সচিব মামুন আল রশীদ, আইএমইডি সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিনসহ পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by