দেশজুড়ে

বিএসআরআমকে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি, ‘সব জ্বালাই দিবো’

  প্রতিনিধি ৩১ মে ২০২১ , ৬:০০:০১ প্রিন্ট সংস্করণ

সাম্প্রতিক ছবি

আশরাফ উদ্দিন, মিরসরাই:

মিরসরাইয়ের জনগনের স্বার্থ নষ্ট করে বিএসআরএমকে পানি উত্তোলন করতে দেওয়া হবে না। বিএসআরএমকে তাদের সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। দুই মাসের মধ্যে বিকল্প পানির ব্যাবস্থা করতে হবে। এছাড়া আগামী এক বছরের মধ্যে তাদের কারখানা শিল্প জোন এলাকায় স্থানান্তর করতে বলা হয়েছে। কিন্তু বিএসআরএম কর্তৃপক্ষ শর্তগুলো কোনটাই পালন যোগ্য নয় বলে জানিয়ে দিয়েছে।

এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি কড়া ভাষায় জানিয়েছেন, আলটিমেটাম না মানলে বিএসআরএমকে পুড়িয়ে ছারখার করে দেওয়া হবে। এছাড়া তিনি আরো বলেন, মিরসরাইয়ের জনগনের স্বার্থ নষ্ট করে বিএসআরএমকে পানি উত্তোলনে আমি অনুমতি দিতে পারি না। তারা উৎপাদন বন্ধ রাখবে যতদিন পানির বিকল্প ব্যবস্তা করতে না পারে। ফেনী নদী থেকে পানি সরবরাহের কাজ তারা শুরু করুক তার পর দেখা যাবে কি করা যায়।

তবে এর আগে তারা কোন প্রকারে মাটির তলদেশ থেকে পানি উত্তোলন করতে পারবে না। যদি নির্দেশ অমান্য করে পানি উত্তোলন করে তাহলে সব (বিএসআরএম) জ্বালাই দিবো। আন্দোলন পরবর্তী পরিস্থিতি সম্পর্কে কথা বলার জন্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপির মুঠোফোনে ফোন করা হলে এই প্রতিনিধিকে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

এ ব্যাপারে বিএসআরএম কর্তৃপক্ষ প্রথম দিকে আলটিমেটামকে বিভিন্ন যুক্তিতে অগ্রহণযোগ্য বলে গণমাধ্যমে বক্তব্য দিলেও একদিন পরেই মত পরিবর্তন করে বক্তব্য দিয়েছেন। মত পরিবর্তন করে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেলোয়ার হোসেন মোল্লা এই প্রতিনিধিকে জানান,

 

যেহেতু এমপি মহোদয় বারণ করেছেন। উপজেলা প্রশাসন, আমরা বাড়াবাড়িতে যাবো না। তবে এটি এমন একটি শিল্প কারখানা যেটি একটি মূহুর্তের জন্যও বন্ধ রাখা সম্ভব নয় এমনকি এত বড় একটি কারখানা অন্যত্র স্থানান্তর করাও সম্ভব নয়। আমরা ইতোমধ্যে আমাদের ২০০ স্ক্রাপ গাড়ি ফেরত দিয়েছি। কারখানায় নতুন কোন স্ক্রাপ গ্রহণ করছি না।
গভীর নলকূপগুলো বন্ধ রেখেছি, মাটির তলদেশে থেকে কোন পানি সংগ্রহ করছি না।

তবে আমাদের স্টকে যে পানি ও স্ক্রাপ জমা আছে তাই দিয়ে আগামী ৪ থেকে ৫দিন উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে এর পর অবশ্যই বন্ধ করে দিতে হবে। আমরা চাইবো এই কয়েক দিনের মধ্যেই এমপি মহোদয়ের সাথে সমঝোতার মাধ্যমে সমাধান করার। আমাদের স্ক্রাপ তরলীকরণ চুল্লি বন্ধ করা খুবই ব্যয়বহুল। এটি ২৪ঘন্টা চালু রাখতে হয়। কোন প্রকারেই এটি বন্ধ করা যায় না। যদি একবার বন্ধ করা হয় তাহলে বিশাল আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। তাই আমরা চাইবো চুল্লি চালু থাকা অবস্থায় সমঝোতা করতে।

এছাড়া তিনি আরো নিশ্চিত করে বলেন, উপজেলা ইউএনও মিহাজুর রহমান, মিরসরাই সার্কেল এএসপি, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা এডিশনাল এসপিসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিগণ আন্দোলন পরবর্তী কারখানা ও গভীর নলকূপ সমূহ পরিদর্শন করেছেন। নলকূপের পানি উত্তোলন বন্ধ রাখা হয়েছে সে বিষয়টিও নিশ্চিত করেছেন। বাকি বিষয়সমূহ কোম্পানির উচ্চ পর্যায়ের নীতি নির্ধারণী ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ পর্যালোচনা করবেন ।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by