চট্টগ্রাম

বিজয়নগরে অপ্রাপ্তবয়স্কা চালক, অবৈধ ট্রাক্টর ঝুঁকিতে জনসাধারণ

  প্রতিনিধি ৯ মার্চ ২০২৩ , ৭:২১:২০ প্রিন্ট সংস্করণ

আলমগীর হোসেন বিজয়নগর প্রতিনিধি ব্রাহ্মণবাড়িয়া :

ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজয়নগর উপজেলার বিভিন্ন সড়কে ঢাবিয়ে বেড়াচ্ছে অবৈধ যান ট্রাক্টর সহ অপ্রাপ্তবয়স্কা দ্বারা চালিত অটোরিকশা সিএনজি, নাই কোন ট্রেনিং ও লাইসেন্স যা শুরু করে কাক ডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত । ফলে ঝুঁকিতে ছোট বড় যানবাহন চালকসহ সাধারণ পথচারী। এছাড়াও এসব অবৈধ ট্রাক্টরে অরক্ষিতভাবে মাটি-বালু ইট পরিবহনের ফলে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে কোমলমতি শিশুসহ বয়োবৃদ্ধরা।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় উপজেলার ইট ভাটায় ইট পোড়ানো মৌসুম শুরুর আগে অবৈধ যান ট্রাক্টরগুলো অদক্ষ, অপ্রাপ্ত বয়সী চালকরা চালিয়ে যাচ্ছে উপজেলার বিভিন্ন সড়কজুড়ে, এতে করে সড়কের ক্ষতি সহ চলাচলরত ছোটখাটো যানচালক, পথচারী, স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে প্রতিনিয়ত।

অরক্ষিতভাবে অবৈধ ট্রাক্টরগুলো মাটি-বালু ইট পরিবহনের ফলে মাটি-বালুর কনা বাতাসে ভাসছে। সেসব মাটি-বালুর কনাগুলো বাতাসের সাথে মিশে শ্বাসপ্রশ্বাসের সাথে মানুষের শরীরে প্রবেশ করছে। এতে শিশু সহ বয়োবৃদ্ধরা বেশি স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে পারে বলে চিকিৎসকদের ধারণা। এছাড়া রাতের আধারে উপজেলার বিভিন্ন মাঠ থেকে মাটি বহন করছে অবৈধ (ইঞ্জিন চালিত দানব) ট্রাক্টরগুলো।

আর ওই সব অবৈধ ট্রাক্টরের বিকট শব্দে রাতে ঠিকমতো ঘুমাতেও পারছে না সর্বসাধারণ। প্রভাব পড়ছে শিক্ষার্থীদের পড়া লেখায়। সচেতন মহল বলছেন, পরিবেশ বিনষ্টকারী ইঞ্জিন চালিত অবৈধযান ট্যাক্টর বেশীরভাগ সময় ব্যবহার হচ্ছে মাটি-বালু ইট পরিবহনের কাজে।
উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে মাটি ও ইট বোঝায় করে দ্রুত গতিতে পৌঁছে দিচ্ছে নিদিষ্ট গন্তব্যে। পরিবেশ বিনষ্টকারী অবৈধযানে মাটি ও ইট বহনের কারণে মহাসড়ক, আঞ্চলিক সড়কগুলো মারাত্বকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

আর এসব অবৈধযান থেকে সড়কে পড়া মাটি গুলোর স্তুপের কারণে জনদুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সর্বসাধারণের। ঘটছে ছোট,বড় দুর্ঘটনা। এসব যেন দেখার কেউ নেই! নিত্যদিনের জনদুর্ভোগ নিরসন ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন সচেতন মহল।
রামপুর বাজার সিএনজি স্টেশনের সভাপতি শ্রী সহদেব দাস বলেন, ব্যাটারি চালিত অটোতে ব্রেক কম,অনেক ছেলেদের কর্মের বয়স হয়নি, তারাও চালিয়ে যাচ্ছে ড্রাইভিং এর কাজ। আমি পরামর্শ দেন সর্বোচ্চ গতি সীমা সিএনজি ৩০,মটর সাইকেল ৩০,অটো ২০ নির্ধারণ করার জন্য।
এ বিষয়ে কাজী মোহাম্মদ শফিকুল ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ হাফেজ মোঃ শফিকুর রহমান বলেন, ঐতিহ্যবাহী ইসলামপুর বাজার থেকে মাধবপুর রোডে প্রায় সময়ই দেখা সিএনজি অটো রিক্সার এক্সিডেন্ট, এবং বেশিরভাগ সময় দেখা যায়, এক্সিডেন্ট এর মূল কারণ হলো অপ্রাপ্তবয়স্ক দ্বারা চালিত। এবং কোন কোন সময় দেখা যায় রাতের বেলা অটো রিক্সা চালায় তাদের নাই কোন হেডলাইট, নাই কোন পিছনের সিকিউরিটি লাইট। বেশিরভাগ চালকের নাই কোন লাইসেন্স ও ট্রেনিং, নাই কোন ফিটনেস লাইসেন্স। আমি সচেতন মহল কে আহবান করব আমরা যারা বৃত্তবান আছি অপ্রাপ্তবয়স্কদের চাহিদা মেটাতে, তাহলে তারা স্কুল ছেড়ে অটো রিক্সা চালাতে আসবেনা। এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে আহবান করব আইনের কার্যক্রম বাস্তবায়িত করতে।
বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ রাজু আহমেদ বলেন, অবৈধ ট্রাক্টর ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের আইনের আওতায় আনার জন্য সর্বদা আমরা সচেতন, পাশাপাশি আমাদের বীট পুলিশিং দ্বারা জনমহলে সচেতনতামূলক আলোচনা অব্যাহত আছে।
বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মাসুম বলেন অপ্রাপ্ত বয়সে অটো এবং সিএনজি চালকের দরুন প্রতিদিন দূর্ঘটনার সংখ্যা বেড়েই চলছে।

এ বিষয়ে বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ জানান, এ বিষয়ে আমরা রোড পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছি এবং বিভিন্ন জায়গায় ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়েছি।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by