বাংলাদেশ

বিধিনিষেধের প্রজ্ঞাপন বিকেলে বা আগামীকাল : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

  প্রতিনিধি ৯ জানুয়ারি ২০২২ , ৪:২৭:৫০ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক:

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ অতিমাত্রায় ও অতি দ্রুত বাড়তে শুরু করেছে। এ অবস্থায় আজ রবিবার কিংবা আগামীকাল সোমবারের মধ্যে বিধিনিষেধের প্রজ্ঞাপন জারি হবে। খুব শিগগিরই এর কার্যকারিতাও শুরু হবে। 

তিনি আফসোস করে বলেন, আমরা আগেই বলেছিলাম স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে, মাস্ক পরতে হবে। কিন্তু কেউ এসব বিষয়ে কর্ণপাত করেনি।

আজ রবিবার (৯ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে দেশের আটটি বিভাগীয় শহরের মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪৬০ শয্যা বিশিষ্ট হার্ট, কিডনি ও ক্যানসার চিকিৎসার সমন্বিত ইউনিট স্থাপনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে, এরই মধ্যে শনাক্তের হার পৌনে ৬ শতাংশে পৌঁছে গেছে এবং এটা প্রতিদিনই ঊর্ধ্বমুখী। যখন থেকে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে তখন থেকেই সতর্কবাণী প্রচার করছি। স্বাস্থ্যবিধি কেউ মানছেন না। যার ফলে শনাক্তের হার বাড়ছে। একইসঙ্গে হাসপাতালের রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে।

এসময় প্রজ্ঞাপন জারির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণকে সচেতন হতে হবে। সবাই আক্রান্ত হতে পারেন, শিশুরাও আক্রান্ত হচ্ছে। সংক্রমণ বেড়ে গেলে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে, সংক্রমণ যে হারে বাড়ছে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যে সরকারিভাবে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মানতে আজ অথবা কালের মধ্যেই একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। এর মাধ্যমে পূর্বে যে নির্দেশনাগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছিল, সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য সারাদেশে বার্তা চলে যাবে। আমরা কেবিনেট থেকে জানতে পেরেছি এর কার্যকারিতাও খুব শিগগিরই শুরু হয়ে যাবে।

জাহিদ মালেক বলেন, আমরা যতই নির্দেশনা পাঠাই না কেন, জনগণের ওপর নির্ভর করবে তারা এটা মানছে কি না। কাজেই নিজেদেরই সচেতন হতে হবে। শিশুরা সংক্রমিত হচ্ছে, এমনকি বয়স্করাও সংক্রমিত হচ্ছে। সংক্রমণ মোকাবিলায় আমাদের দায়িত্বশীল হতে হবে।

এখন ছয় কোটির মতো করোনার টিকা মজুত আছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের মোট ৩১ কোটি ডোজ টিকার পরিকল্পনা রয়েছে। মানুষের টিকা নেওয়ার আগ্রহ কমে গেছে। টিকাদান কর্মসূচি কমিউনিটি পর্যায়ে নেওয়া হয়েছে। টিকা নেওয়ার ফলে মৃত্যুর হারও কমেছে, কিন্তু মাস্ক না পরলে সংক্রমণ কমানো যাবে না।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক ভিসি ও সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, বিএসএমএমইউ ভিসি অধ্যাপক মো. ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম প্রমুখ।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by