রাজশাহী

বড়াইগ্রামে চলছে ফসলি জমিতে পুকুর খনন

  প্রতিনিধি ১৫ মার্চ ২০২১ , ৭:১৪:৫৬ প্রিন্ট সংস্করণ

পার্থ দাস, বড়াইগ্রাম (নাটোর) :

উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্তে¡ও নাটোরের বড়াইগ্রামে কৃষি জমিতে চলছে অবাধে পুকুর খনন। এতে শুধু কৃষি জমিই নষ্ট হচ্ছে না, মাটি বহনের জন্য ব্যবহৃত ট্রাক্টরের মোটা ও ভারি চাকায় নষ্ট হচ্ছে গ্রামীণ সড়ক, পরিবেশের উপরেও পড়ছে বিরূপ প্রভাব।  এ ধরণের অবাধ ও পরিকল্পনাহীন পুকুর খনন বন্ধ না হলে জলাবদ্ধতাসহ কৃষি জমির ব্যাপক ক্ষতি হবে বলে আশঙ্কা করছেন কৃষি সংশ্লিষ্টরা।

কৃষি জমিতে অবাধ পুকুর খননে সংশ্লিষ্টরা প্রশাসনকে ডোন্ট কেয়ার করলেও প্রশাসনের দাবি পুকুর খনন বন্ধে জোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। গত শুক্রবার ও শনিবার সরেজমিনে অনুসন্ধানে দেখা যায়, উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের গোপালপুর খাঁ পাড়া এলাকায় মোস্তাক হোসেন দীর্ঘদিনের পুরনো খাল দখল করে এক্সকেভেটর দিয়ে পুকুর কাটছেন।

একই সঙ্গে পাশের তিন ফসলি প্রায় ৫ বিঘা জমিতেও তিনি পুকুর খনন করছেন। একই ইউনিয়নের অর্জুনপুর এলাকার শাহজাহান আলী তার ৫ বিঘা জমিতে ও নিশ্চিন্তপুরে মতিউর রহমানের ৭ বিঘা জমিতে পুকুর খনন করা হচ্ছে। চান্দাই ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামে ৬ বিঘা জমিতে ও একই ইউনিয়নের আকবর মোড় এলাকায় আলমের ইটভাটার পেছনে মাহতাব উদ্দিনের ১০ বিঘা জমিতে পুকুর খনন করা হচ্ছে।

জোনাইল বাগবাচ্চা বিলের প্রায় ১২ বিঘা জমিতে পুকুর কাটছেন লোকমান হোসেন নামে এক ব্যক্তি। একইভাবে বড়াইগ্রাম ইউনিয়নের চড়–ইকোল এলাকায় মাটি কাটার ঠিকাদার হায়দার আলী, মানিকপুর গ্রামে রেজাউল করিম, রাজাপুর গ্রামে আব্দুল খালেক এবং উপলশহর কিলিকমোড়ে আব্দুল আজিজ তিন ফসলি জমিতে পুকুর কেটে বাইরে মাটি বিক্রি করছেন।

একইভাবে বড়াইগ্রাম উপজেলা আটঘরিয়া, ভবানীপুর, কামারদহ, মহানন্দগাছাসহ বিভিন্ন এলাকায় চলছে অবাধে পুকুর খনন। কোথাও এক্সকেভেটর আর কোথাও শ্রমিক দিয়ে পুকুর কেটে এসব মাটি বিক্রি হচ্ছে উপজেলার বিভিন্ন ব্যক্তিগত পর্যায়ে ও পাশাপাশি ইটভাটায়।

মাটি বহনে ব্যবহৃত ট্রাক্টরের উপর্যুপরী যাতায়াতে ক্ষতি হচ্ছে রাস্তাঘাট, ঘটছে দুর্ঘটনা, নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ। ট্রাক্টর মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতি গাড়ির মাটি বিক্রি হচ্ছে দূরত্ব অনুযায়ী আটশ’ থেকে এক হাজার দুইশত টাকায়। সেই সাথে গাড়িগুলো চালাতে দেখা যায় অধিকাংশই অপ্রাপ্ত বয়স্ক চালক।

যাদের বয়স পনের থেকে বিশের মধ্যে। এদের কোন ড্রাইভিং লাইসেন্স বা গাড়ি চালানোর কোন বৈধ কাজ কাগজপত্র নেই।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কৃষি জমিতে কাউকে পুকুর খনন করতে দেয়া হবে না। এ ব্যাপারে অভিযান জোরদার করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by