প্রতিনিধি ৩১ মে ২০২০ , ৮:০৪:১৪ প্রিন্ট সংস্করণ
মহেশপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি : রোববার ছিলো এস এস সি পরীক্ষার ফল প্রকাশের দিন। দুপুরে পরীক্ষার ফলাফল মোবাইল ফোনের মাধ্যমে দেখতে পায় পরীক্ষার ফলাফল মনের মত হয়নি। পরে মনের দুঃখে বাড়ীর পাশের বাগানে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে এস এস সি পরীক্ষার্থী পিয়ারুল ইসলাম (১৭)। পিয়ারুল ইসলাম ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার শাহাবাজপুর গ্রামের ঝন্টু মিয়ার ছেলে।
একই সময় পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়ে রিমি খাতুন (১৬) নামের এক এস এস সি পরীক্ষার্থী নিজ বাড়ীতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে পরিবারের সদস্যরা রিমি খাতুনকে গুরুতর অবস্থায় কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তী করেছেন। রিমি খাতুন মহেশপুর উপজেলার বজরাপুর গ্রামের আহম্মদ আলীর মেয়ে। দু’জনই খালিশপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থী।
পরিবারের সদস্যরা জানান, দুপুরের দিকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরীক্ষার ফলাফল দেখে মনের দুঃখে বাড়ীর পাশের মেহগুনি বাগানে গিয়ে গলাই ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে পিয়ারুল।
রিমি খাতুনের স্বজনরা জানান,রিমি পরীক্ষায় ফেল করার কারনে নিজ ঘরে দুপুরের দিকে গলাই ফাঁস দিয়ে আতœহত্যার চেষ্টা করে। বর্তমানের তাকে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তী করা হয়েছে।
খালিশপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোশারফ হোসেন জানান, শাহাবাজপুর গ্রামের পিয়ারুল ইসলাম সি গ্রেডে পাশ করেছে। হয়তো বা ফলাফলটা তার মনের মত হয়নি। আর বজরাপুর গ্রামের রিমি খাতুন পরীক্ষায় ফেল করার কারনেই মনের দুঃখে আতœহত্যার চেষ্টা করে।
মহেশপুর থানার এস আই জমির হোসেন জানান,পরীক্ষার ফলাফল হইতো মনের মত হয়নি সে কারনেই বাড়ীর পাশের মেহগুনি বাগানে গিয়ে গলাই দড়ী দিয়ে আতœহত্যা করে পিয়ারুল ইসলাম। আর বজরাপুরের আত্মহত্যার চেষ্টাকারী রিমি খাতুন রয়েছে কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনায় মহেশপুর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে বলেও জানান এস আই জমির হোসেন।