প্রতিনিধি ৪ অক্টোবর ২০২২ , ৭:২৩:৩৭ প্রিন্ট সংস্করণ
ভোরের দর্পণ ডেস্কঃ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘মিয়ানমারের যুদ্ধ তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তাদের কোনো গ্রুপ—সেটা আরাকান আর্মি হোক বা বিজিপি, বাংলাদেশের সীমানায় যেন আসতে না পারে, সে জন্য সীমান্তে বিজিবি সদস্যের সংখ্যা ও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।’
আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে গাজীপুরের সফিপুরে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সাধারণ আনসার মৌলিক প্রশিক্ষণের প্রথম ধাপের সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা মনে করি, মিয়ানমার বাহিনী আমাদের সীমানায় আসবে না। আমরা যুদ্ধ চাই না, সবার সঙ্গে মিলেমিশে থাকতে চাই।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘বর্তমানে সারা দেশে পূজামণ্ডপে এক লাখ ৮২ হাজারের বেশি সাধারণ আনসার নিরাপত্তায় অবদান রেখে যাচ্ছেন। দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা নিয়ে আশা করি কোনো সমস্যা হবে না।’
অনুষ্ঠানে মঞ্চে উপস্থিত থেকে প্রশিক্ষণার্থীদের সালাম গ্রহণ এবং কুচকাওয়াজ উপভোগ করেন মন্ত্রী।
এর আগে ইয়াদ আলী প্যারেড গ্রাউন্ডে আয়োজিত কুচকাওয়াজে খোলা সবুজ জিপে চড়ে প্রতিটি কন্টিনজেন্ট পরিদর্শন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। পরে প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে নিজ নিজ ধর্মগ্রন্থের দিকে হাত তুলে বাংলাদেশের সংবিধানের প্রতি অটল থেকে দেশ ও দেশের মানুষের সেবায় জীবন উৎসর্গ করার শপথ নেন প্রশিক্ষণার্থীরা। তাদের মধ্য থেকে শ্রেষ্ঠ প্রশিক্ষণার্থীর হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি।
মোট ৯৯৫ প্রশিক্ষণার্থীর মধ্যে ড্রিলে প্রথম স্থান অর্জন করেন মো. রফিকুল ইসলাম হৃদয়, ফায়ারিংয়ে সেরা নূরুল ইসলাম এবং সব মিলিয়ে চৌকস প্রশিক্ষণার্থীর পুরস্কার পান মো. আকরাম হোসেন।
বর্তমানে সারা দেশে সাড়ে চার হাজারের বেশি প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৫৪ হাজার সাধারণ আনসার জননিরাপত্তায় অবদান রাখছেন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আখতার হোসেন, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান, অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খোন্দকার ফরিদ হাসান, বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি একাডেমির কমান্ড্যান্ট অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. সামছুল আলম, গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার কাজী শফিকুল আলম এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ কর্মচারী ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।