দেশজুড়ে

মিরসরাইয়ে গরু চুরির অভিযোগে ব্যবসায়ির সংবাদ সম্মেলন

  প্রতিনিধি ২৪ এপ্রিল ২০২১ , ৬:০৬:১২ প্রিন্ট সংস্করণ

মিরসরাই প্রতিনিধি:

মিরসরাইয়ে থানা পুলিশ ও একটি প্রভাবশালী চক্রের বিরুদ্ধে গরু চুরির অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক গরু ব্যবসায়ি। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মিরসরাই থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং স্থানীয় মিরসরাই ডিগ্রী কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সদস্য প্রফেসর নাছির উদ্দিন সহ কয়েক জনের বীরুদ্ধে এই অভিযোগ আনা হয়। শনিবার (২৪ এপ্রিল) স্থানীয় মিরসরাই প্রেসক্লাবের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে লিখিত বক্তব্যে এই দাবি করেন ব্যবসায়ি দিদারুল আলম।

সংবাদ সম্মেলনে গরু ব্যবসায়ি দিদারুল আলম জানান, গত ২১ মার্চ বিক্রির উদ্দেশ্যে লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার রসুলগঞ্জ থেকে ৬টি গরু ক্রয় করেন তিনি। এরপর গরুগুলো পরিচিত ও পূর্ব সম্পর্কিত পাশ^বর্তী ব্যবসায়ী মো. শাহীন ও ভাসানীর গরুর সঙ্গে একই ট্রাকে মিরসরাইয়ের বড়তাকিয়া এলাকায় এনে শাহীনের বোনের বাড়িতে রাখেন। পরের দিন নিজের গরু আলাদা করতে গেলে শাহীন দিদারুলের ৬টি গরুও নিজের বলে দাবি করে মারধর করে তাড়িয়ে দেন ও গরু ক্রয়ের মূল রশিদ ছিনিয়ে নেয়। দিদারুল আলম পুনরায় রসুলগঞ্জ বাজারে গিয়ে হাট ইজারাদার থেকে কার্বন রশিদ সংগ্রহ করে গত ১২ এপ্রিল শাহীনের বিরুদ্ধে স্থানীয় মিরসরাই থানায় একটি অভিযোগ করেন। অভিযোগের তদন্ত ভার পড়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাকসুদ এর ওপর। এসআই মাকসুদ দিদারুলের গরুগুলো শনাক্ত করে স্থানীয় মিরসরাই বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের উপাধ্যক্ষ, মিরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নাছির উদ্দিনের জিম্মায় রেখে গত ১৯ এপ্রিল থানায় শালিসি বৈঠকের আয়োজন করা হয়।

গরু ব্যবসায়ী দিদারুল অভিযোগ করেন, ‘শালিসি বৈঠকে ওসি মুজিবুর গরু ক্রয়ের কার্বন রশিদ যাচাই করে অভিযোগের সত্যতা প্রমান করে পরের দিন গরুগুলো প্রফেসর নাছির উদ্দিনের কাছ থেকে নিয়ে যেতে বলেন। গরু ফেরত নেওয়ার জন্য আওয়ামীলীগ নেতা প্রফেসর নাছির উদ্দিনের কাছে গেলে তিনি আমাকে হুমকি ধমকি দিয়ে আমাকে তাড়িয়ে দেন এছাড়াতিনি বলেন, ‘তোমার আবার কিসের গরু?’ যাও এখান থেকে।

হুমকি-ধমকি ও গরু জিম্মায় রাখার বিষয়ে মিরসরাই বিশ^বিদ্যালয় কলেজের উপাধ্যক্ষ, মিরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নাছির উদ্দিন বলেন, ‘দিদারুল লোকটা পুরোপুরি একজন প্রতারক। আমার টাকা দিয়ে গরু কিনে সে নিজের নামে রশিদ কাটিয়েছে। এ ঘটনায় আমরা হতবাক হয়েছি। সে আমাদের টাকা আতœসাত করেছে, কম দামে গরু ক্রয় করে বেশি দাম দেখিয়েছে। আমরা তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যাবস্থা নিবো বুঝতে পেরে আগ থেকেই সে বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছে।”

এসব বিষয়ে মিরসরাই থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মজিবুর রহমান জানান, উভয়পক্ষ আমার কাছে এসেছিল। বাদি দিদারুল তার পক্ষে যথেষ্ট প্রমাণাদি দিতে পারেন নি। তার গরু ক্রয়ের টাকার সোর্স নিশ্চিত করতে পারিনি। দিদারুল আলম যথাযথ প্রমাণ নিশ্চিত করতে পারলে তাকে গরু ফেরতের ব্যবস্থা করা যাবে। এছাড়া বিষয়টি পূর্ণাঙ্গভাবে এখনো সুরাহা হয়নি। গরুগুলো নাছির সাহেবের জিম্মায় রাখা হয়েছে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by