চট্টগ্রাম

মিরসরাইয়ে বাড়ি ফেরার পথে  গুলিবিদ্ধের ঘটনায় আটক ৪

  প্রতিনিধি ১৪ জানুয়ারি ২০২৩ , ৭:৩৯:২৭ প্রিন্ট সংস্করণ

মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে মুুক্তিযোদ্ধের বিজয় মেলার শেষের দিনে মেলা থেকে বাড়ি ফেরার পথে গুলিবিদ্ধের ঘটনার ৪ আসামীকে আটক করেছে র‌্যাব।
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) র‌্যাবের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এই ঘটনার প্রধান ৪ আসামীদের কুমিল্লা জেলার চান্দিনা এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে।

আটকৃত আসামীরা হলো, জোরারগঞ্জ থানার সোনাপাহাড় এলাকার মোস্তফা মাষ্টারের ছেলে আল মামুন (২২), মনির আহম্মদের ছেলে মাইন উদ্দিন (২৫), আর্মি কামালারে ছেলে মো. জুয়েল, মৃত মহিউদ্দিনের ছেলে জামাল উদ্দিন (২৫)।

র‌্যাব জানায়, গত ২২ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১০ দিন ব্যাপি জোরারগঞ্জ থানাধীন জোরারগঞ্জ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে প্রতিবছরের ন্যায় মুক্তিযুদ্ধ বিজয় মেলার আয়োজন করা হয়। বিজয় মেলায় আগত বিভিন্ন দোকান হতে বিভিন্ন সময় স্থানীয় অস্ত্রধারী চাঁদাবাজ মাঈন উদ্দিন টিটু(৪২) চাঁদা দাবী করে আসছিল। বিজয় মেলা পরিষদ দোকানদারদের চাঁদা দিতে নিষেধ করলে মাইন উদ্দিন বিভিন্ন সময় মেলায় এসে আয়োজক কমিঠির সদস্যদেরকে হুমকি প্রদান করেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১ জানুয়ারি ভোর আনুমানিক সাড়ে ৪ টায় মেলার শৃঙ্খলা কমিটির সদস্যরা মেলা শেষ করে বাড়ী ফেরার পথে জোরারগঞ্জ বাজারে পৌছিলে মাইন উদ্দিন টিটুর নেতৃত্বে ২৫ থেকে ৩০ জনের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাদের উপর আক্রমণ করে। এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীদের এলোপাতাড়ি গুলিতে মেলার শৃংখলা কমিটির সদস্য কাউছার আহম্মদ, ইমতিয়াজ উদ্দিন (২০), মিরাজ আকবর শাকিব (১৯), সাইফুদ্দিন রিফাত (১৮), তারেক হাসান (২৫) সরোয়ার হোসেন (১৮) গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। এছাড়া সন্ত্রাসীরা জোরারগঞ্জ স্কুল মাঠে মেলার শৃংখলা কমিটির আরও কয়েকজন সদস্যকে রামদা, কিরিচ, হকিষ্টিক ইত্যাদি অস্ত্র দ্বারা এলোপাতাড়ি আঘাত করে গুরুতর আহত করে এবং কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে।

পরবর্তীতে আহত ব্যক্তিদের চিৎকারে মেলায় উপস্থিত লোকজন এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা অস্ত্র উঁচিয়ে ফাঁকা গুলি করতে করতে চলে যায়। এ ঘটনার প্রেেিত মেলার শৃঙ্খলা কমিটির সদস্য কাউছার আহাম্মদ আরিফ গত ৪ জানুয়ারি জোরারগঞ্জ থানায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরও ১০ থেকে ১২ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে। এর পরে র‌্যাব বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করে।

এ বিষয়ে র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নূরুল আফছার বলেন, আটকের পর তাদের সংশিষ্ট থানায় সোর্পদ করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার ঘটনা স্বীকার করেছে আসামীরা।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by