প্রতিনিধি ২১ এপ্রিল ২০২১ , ৪:৩৭:১৬ প্রিন্ট সংস্করণ
‘শখের হাঁড়ি’ শৈল্পিক কারুকার্যমন্ডিত পাত্র। এই হাঁড়ি তৈরির পুরোটাই হাতে। মনের মাধুরী মেশানো আকৃতির উপরে কারুকার্য, দেখলে যে কারো মন ছুঁয়ে যাবে সহজেই। এমন ‘শখের হাঁড়ি’র স্বীকৃতির জন্য চলতি বছরের গত মার্চ মাসে জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থার (ইউনেস্কো) কাছে আবেদন করেছে বাংলা একাডেমি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী। স্বীকৃতি পেতে আবেদনে বাংলা একাডেমি বলেছে, রাজশাহী অঞ্চলের বাসিন্দারা ঘরে শৌখিন সামগ্রী সংরক্ষণ এবং উৎসবে বিশেষ ধরনের শখের হাঁড়ি তৈরি করে। মূলত কৃষিপ্রধান ওই অঞ্চলের বড় বড় হাটে বিভিন্ন ধরনের শৈল্পিক কারুকার্যমন্ডিত পাত্র বিক্রি হয়। দুই যুগ আগেও রাজশাহী অঞ্চলের সাড়ে চার হাজার পরিবার এ হাঁড়ি তৈরি করত। এখন হাতে গোনা কয়েকটি পরিবার মেলা উপলক্ষে তা করে থাকে।
তিনি বলেন, আমি চারুকলার ছাত্র না, যে বই পড়ে নকশা আঁকবো। অভাবের কারণে দ্বিতীয় শ্রেণির পড়া-শোনা শেষ করতে পারিনি। হাঁড়িতে গায়ে রঙ তুলি দিয়ে নিজের আবেক ফুটিয়ে তুলি। যখন যেমন ইচ্ছে তেমন। চেষ্টা করি সব থেকে ভালোভাবে আঁকার।
তিনি আরো বলেন, ভাই-ভাতিজি, ছেলে-ছেলের স্ত্রী নাতি-নাতনি সবাই মিলে কাজ করি। তারা সবাই এই কাজ পাড়ে। আমার পরেও দুই প্রজন্ম রেখে যাব। তারা এই শখের হাঁড়িকে বহুদূর নিয়ে যাবে।