দেশজুড়ে

রায়পুরে সুপারির বাম্পার ফলন

  প্রতিনিধি ১১ অক্টোবর ২০২৩ , ৫:৫৪:১১ প্রিন্ট সংস্করণ

রায়পুরে সুপারির বাম্পার ফলন

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় সুপারির বাম্পার ফলন হয়েছে। বাম্পার ফলনের পাশাপাশি বাজারে সুপারির ভালো দাম পাওয়ায় খুশি বাগান মালিকরা। এই উপজেলার মাটি সুপারি ও নারিকেল  উৎপাদনের উপযোগী। তাই বাগানের পাশাপাশি বাড়ির আঙিনায় ও আশেপাশে সুপারি গাছ রয়েছে। অনেকের সংসার এই সুপারির বিক্রির টাকা দিয়েই চলে বলে জানান স্থানীয়রা।

জানা যায়, সাধারণত কার্তিক ও অগ্রহায়ন মাস হলো সুপারির মৌসুম। তবে এবছর সময়ের আগেই সুপারি পাওয়া যাচ্ছে। উপজেলা সদরের হায়দরগঞ্জ বাজার, রাখালিয়া বাজার, মোল্লারহাট বাজার, নয়ার হাট, মিরগঞ্জ বাজারসহ স্থানীয় প্রতিটি বাজারেই সুপারির জমজমাট ব্যবসা চলছে।

দেবীপুর এলাকার সুপারির বাগান মালিক জহির বলেন, এই সুপারি বিক্রি করেই আমার সংসার চলে। এবছর বাম্পার ফলন হওয়ায় ৮ কাহন সুপারি বিক্রি করতে পারব। বাজারে প্রতিপণ সুপারি প্রকারভেদে ১০০-১৫০ টাকা বিক্রি করছি। আরেকজন বাগান মালিক খোকন মৈশাল বলেন, গত বছররের তুলনায় এবছর দ্বিগুণ ফলন হয়েছে। আগামী দুইমাস পর্যন্ত সুপারি বিক্রি করতে পারবো। এতে আমি অনেক লাভবান হবো। আশা করছি আগামীতে আরো বেশি ফলন হবে।

হায়দরগঞ্জের সুপারি ব্যবসায়ী বাচ্চু বলেন, আমি গ্রামে ভেতরে বাড়ি বাড়ি থেকে সুপারি কিনে নিয়ে আসি। তারপর তা বাজারে বিক্রি করি। আমি যে সুপারি নিয়ে এসেছি সেগুলো ১২৫ টাকা পণ বিক্রি করছি। তবে বাজারে প্রকারভেদে সুপারি ৮০-১৫০ টাকা দরেও বিক্রি হয়।

আরেক ব্যবসায়ী মো: মন্নান বলেন, আমি প্রতি মৌসুমে সুপারি বাগান মালিকের কাছ থেকে টাক রেখে ব্যবসা করি। বাগান মালিকদের মৌসুমে যে টাকা দেই তা বাগান পাহারা দিয়ে সুপারি বাজারে বিক্রি করি। আমার এবছর ৪০-৫০ হাজার টাকা লাভ করতে পারব।সুপারি পানিতে ভিজিয়ে সংগ্রক্ষন করে তা সুপারির মৌসুম শেষ হয়ে গেলেও সারা বছর বেশি দামে বিক্রি করা যায়। 

উপজেলা কৃষি অফিসার তহমিনা খাতুন বলেন, রায়পুরে প্রায় প্রতিটি বাড়িতে সুপারির চাষ হচ্ছে। আবার অনেকে আছে যারা বাগান করে সুপারির চাষ করছেন। কৃষক তার পতিত জমিতে সুপারির চাষ করেন। অনেকে চারা করেন। আবার সেই চারাকে আবার বাগান করেন। রায়পুর উপজেলায় উপজেলায় ৩৫০ হেক্টর জমিতে সুপারির বাগান রয়েছে। আমাদের উপজেলা সহকারি কৃষি কর্মকর্তারা প্রতিটি সুপারি বাগান মালিককে প্রযোজনীয় পরামর্শসহ যাবতীয় সাপোর্ট দিয়ে থাকেন। অর্থকরী ফসল হিসেবে পরিচিত সুপারির বাগানের পরিধি আগামিতে আরও বাড়ানোর উদ্যোগ আমাদের রয়েছে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by