আন্তর্জাতিক

রাশিয়ার এসইউ-৩০ যুদ্ধবিমানের প্রথম চালান গেলো মিয়ানমারে

  প্রতিনিধি ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ৪:৪২:২৯ প্রিন্ট সংস্করণ

রাশিয়ার এসইউ-৩০ যুদ্ধবিমানের প্রথম চালান গেলো মিয়ানমারে

মিয়ানমারে পৌঁছেছে রাশিয়ার এসইউ-৩০ যুদ্ধবিমানের প্রথম চালান। দেশটির বাণিজ্যমন্ত্রী চার্লি থান রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আরআইএ’কে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবর রয়টার্সের।

আজ থেকে রাশিয়ার বন্দর নগরী ভ্লাদিভোস্টকে শুরু হয়েছে ইস্টার্ন ইকোনমিক ফোরাম। আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সহযোগিতার বিকাশ ও বিদেশি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে আয়োজিত এই ফোরামের এক ফাঁকে মিয়ানমারের বাণিজ্যমন্ত্রী আরআইএ’কে জানান, এরই মধ্যে দুটি যুদ্ধবিমান পাঠানো হয়েছে।

২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে মোট ছয়টি এসইউ-৩০এসএমই যুদ্ধবিমান কেনার বিষয়ে রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল মিয়ানমারের।

রাশিয়ার রাষ্ট্র-নিয়ন্ত্রিত অস্ত্র রপ্তানিকারক রোসোবোরনএক্সপোর্টের তথ্যমতে, সুখোই এসইউ-৩০এসএসই হলো একটি মাল্টি-রোল যুদ্ধবিমান। এগুলো আকাশপথে শত্রুর ওপর হামলা চালাতে এবং নির্ভুলভাবে নিশানা গুঁড়িয়ে দিতে খুবই কার্যকর।

রুশ বার্তা সংস্থা তাস পৃথক এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইস্ট ইকোনমিক ফোরামে রাশিয়া-মিয়ানমারের মধ্যে নতুন বেশ কয়েকটি চুক্তি সই হতে পারে। এর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক পর্যটন সম্পর্ক বাড়ানোর চুক্তিও থাকতে পারে।

এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য বার্তা সংস্থা রয়টার্সের অনুরোধে সাড়া দেয়নি রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

যুক্তরাষ্ট্র আগেই সতর্ক করেছে, মিয়ানমারের সামরিক শাসকদের প্রতি রাশিয়ার সমর্থন কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তাদের কাছে আরও অস্ত্র সরবরাহ দেশটিতে চলমান সংঘাত আরও বাড়িয়ে দেবে এবং বড় বিপর্যয়ের কারণ হয়ে উঠতে পারে।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রীসহ শীর্ষ কূটনীতিকরা বেশ কয়েকবার দেশটি সফরে গিয়েছেন। আর থেকে মিয়ানমারের জান্তা প্রধান মিন অং হ্লেইং নিজেই একাধিকবার মস্কো সফর করেছেন। তাকে লালগালিচা সংবর্ধনার পাশাপাশি একটি সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রিও দিয়েছে রাশিয়া।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by