দেশজুড়ে

বাগেরহাটের রামপালে খাল না থাকলেও রয়েছে ব্রিজ কালভার্ট

  প্রতিনিধি ৪ মার্চ ২০২৪ , ৫:৩৩:১০ প্রিন্ট সংস্করণ

বাগেরহাটের রামপালে খাল না থাকলেও রয়েছে ব্রিজ কালভার্ট

কালভার্ট ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থাসহ আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থার সবই আছে, শুধু নেই খালটি। দৃশ্যটি বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার মল্লিকেরবেড় ইউনিয়নের। এই ইউনিয়নের এক সময়ের প্রবহমান বড় ভাই জোড়া খালটি এখন মৃতপ্রায়। খালটির বিভিন্ন জায়গায় বাঁধ দিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালীদের মাছ চাষ করার কারণে খালটি এখন মরতে বসেছে।

এ ইউনিয়নের ছোট ভাই জোড়াসহ অন্যান্য যে খালগুলো রয়েছে তার প্রায় সবগুলোর চিত্র একই। এই ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধি ও প্রভাবশালীদের মধ্যে চলছে খাল দখল করে মাছের ঘের করার অসুস্থ প্রতিযোগিতা।স্থানীয়রা বলছেন, সরকারি খালে প্রভাবশালীদের মাছের ঘের করার কারণে এলাকায় ধান চাষ ব্যাহত হচ্ছে।

এছাড়া বর্ষা মৌসুমে দেখা দিচ্ছে জলাবদ্ধতা। দীর্ঘদিন ধরে এমন অবস্থা চলতে থাকায় এক সময়ের প্রবহমান বড় ভাই জোড়া খালটি এখন মরতে বসেছে। এছাড়া ইউনিয়নের অন্যান্য যে খাল গুলো রয়েছে সেগুলোর অবস্থাও একই। এই প্রভাবশালীরা এতটাই ক্ষমতাধর যে, কেউ তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বা কথা বলার সাহস পায় না। মল্লিকের বাড়ি ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. সুমন হাওলাদার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমাদের ইউনিয়নের প্রভাবশালীদের নেতৃত্বে কতিপায়ের লোক খাল দখল করে মাছ চাষ করে আসছে।

ইউনিয়নের মধ্যে দিয়ে বয়ে চলা ছোট ভাই জোড়া ও বড় ভাই জোড়া খালের বিভিন্ন জায়গায় বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করার কারণে শেচকাজ ব্যাহত হচ্ছে পাশাপাশি কৃষকরা চরম বিলম্বনয় পড়েছেন।স্থানীয় কৃষক প্রকাশ মন্ডল বলেন, ১০ বছর ধরে খালটি তারা দখল করে রেখেছে। একটা খালতো মরেই গেছে। যারা দখল করে এই খাল খায় তাদের নাম নিলো তো এলাকা থেকে পালিয়ে যেতে হবে।

আমরা প্রশাসনের কাছে খাল দুটি অবমুক্ত করার দাবি জানাই। মল্লিকেরবেড় ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য দেপাল মণ্ডল বলেন, সাবেক এক চেয়ারম্যান এবং এলাকার কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল লোক প্রায় ১০ বছর ধরে খাল দুটি দখল করে মাছ চাষ করে আসছে। আমরা একাধিকবার বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সবাইকে বিষয়টি জানিয়েছি।

কিন্তু কোন কাজ হয়নি। তাদের বাহিনীর ভয়ে আমাদের আতঙ্কে থাকতে হয়। কেউ প্রতিবাদ করলে তাদের অত্যাচার এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়। আমরা এই খাল দখলকারী ও তাদের বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রহিমা সুলতানা বুশরা বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Powered by