এদিকে কে হচ্ছেন দেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি, এই নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। এরই মধ্যে কয়েকজনের নামও উঠে এসেছে। দুজনকে ফোন দেওয়ার খবরও এসেছে গণমাধ্যমে। প্রকৃতপক্ষে, কে হবেন পরবর্তী রাষ্ট্রপতি সেটি নির্ধারণ হবে মঙ্গলবার।
সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সংসদ ভবনের লেভেল ৯-এ সরকারি দলের সভাকক্ষে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভায় দলের নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করবেন।
তফসিল অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি পদে ভোট গ্রহণ করা হবে ১৯ ফেব্রুয়ারি। এখানে ভোটার খোদ সংসদ সদস্যরা। আগ্রহী প্রার্থীরা ১২ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন। ১৩ ফেব্রুয়ারি যাচাই-বাছাইয়ের পর ১৪ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে।
নিয়ম অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি পদে রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয় এবং সংসদ সদস্যদের ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। সংবিধানের ৪৮(১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের একজন রাষ্ট্রপতি থাকিবেন, যিনি আইন অনুযায়ী সংসদ-সদস্যগণ কর্তৃক নির্বাচিত হইবেন।
আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নীতিনির্ধারক নেতা জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দলের প্রার্থিতা নিয়ে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো ধরনের আলোচনা হয়নি। তবে এ নিয়ে দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীর মধ্যে বেশ কয়েকজনের নাম আলোচিত হচ্ছে।
তাদের মধ্যে রয়েছেন- স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারক পর্যায়ের নেতারা জানিয়েছেন, পরবর্তী রাষ্ট্রপতি কে হবেন- সে ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আগামী দিনের জন্য যাকে যোগ্য মনে করবেন, তিনিই হবেন পরবর্তী রাষ্ট্রপতি।
টিএইচ