দেশজুড়ে

রুমার পর এবার থানচিতে ২ ব্যাংকে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হামলা

  প্রতিনিধি ৩ এপ্রিল ২০২৪ , ৪:১০:৪১ প্রিন্ট সংস্করণ

রুমার পর এবার থানচিতে ২ ব্যাংকে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হামলা

বান্দরবানে রুমায় উপজেলার সোনালী ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনার ২৪ ঘন্টা না পেরুতেই  ফের থানচি উপজেলার কৃষি ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকে পাহাড়ি সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়েছে।

বুধবার (০৩ এপ্রিল) দুপুরে থানচি উপজেলা বাজার এলাকা এ ঘটনা ঘটে।

সূত্রে জানা যায়, আজ দুপুর ১টার দিকে থানচি বাজারে ঢুকে পাহাড়ের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী সংগঠন দুই ভাগে ভাগ হয়ে সোনালী এবং কৃষি ব্যাংকে হামলা চালায়।

এসময় বাজার এলাকায় ফাঁকা গুলি ছুড়ে এলাকায় আতংক তৈরী করে,তাদের ভয়ে দিকবেদিক ছোটাছুটি করে পালাতে থাকে স্থানীয়রা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান  সন্ত্রাসীরা দুইটি ব্যাংক লুট করে এলোপাথারি গুলি ছুড়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। এ ঘটনার পর থেকে জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

এদিকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মামুন   জানান সকালে সশস্ত্র একদল সন্ত্রাসী উপজেলার সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংক এ পৃথক ভাবে হামলা চালায় এসময় ব্যাংকের কর্মকর্তা,কর্মচারীদের জিম্মি করে সেনালী ব্যাংক হতে ১৫ লাখ এবং কৃষি ব্যাংক থেকে ২ লাখ পয়তাল্লিশ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা।

তারা ফাঁকা গুলি ছুড়ে থানচি বাজার ও আশপাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়।

তবে এতে কারা জড়িত সে ব্যপারে কিছুই বলতে পারছি না। বর্তমানে উপজেলায় পুলিশ ও বিজিবি সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা টহলে আছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।

এ বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও কোন বক্তব্য পাওয়া যায় নি।

প্রসঙ্গত গত মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) তারাবির নামাজ চলাকালে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের একটি সশস্ত্র গ্রুপ রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংক পিলসি শাখায় ঢুকে ব্যাংকের ভোল্ট ভেঙ্গে ২ কোটি টাকা লুটের অভিযোগ উঠে, ব্যাংকের আইনশৃংখলায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্য, আনসার সদস্যের অস্ত্র ও গুলি লুট করে,ব্যাংকের ম্যানেজার নিজাম উদ্দিন কে মসজিদ থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

এবং মসজিদে নামাজ চলাকালে সকল মুসল্লীদের মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। অভিযোগ উঠে পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) এই ঘটনার সাথে জড়িত।

ঘটনার পর উপজেলায় পুলিশ,বিজিবি,সেনাবাহিনীর টহল বৃদ্ধি করা হয় ঘটনার পর হতে নিখোঁজ ব্যাংক ম্যানেজার কে উদ্ধারে মাঠে নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এরই প্রেক্ষিতে উপজেলায় ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান জেলা প্রশাসন,পুলিশ প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর ঊর্ধতন নেতৃবৃন্দ সহ স্থানীয় প্রশাসনের নেতৃবৃন্দ।

উল্লেখ্য দুই উপজেলায় ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় এখনো সংশ্লিষ্ট থানায় কোন মামলা হয়নি।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by