দেশজুড়ে

লালমোহনে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান, শেষ হয়নি নতুন ভবনের কাজ

  প্রতিনিধি ১৪ জানুয়ারি ২০২৪ , ৫:৩০:৪৫ প্রিন্ট সংস্করণ

লালমোহনে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান, শেষ হয়নি নতুন ভবনের কাজ

ভোলার লালমোহনে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ কাজ দেড় বছরের মধ্যে সম্পন্ন করার কথা থাকলেও ঠিকাদারের গাফিলতির কারণে তা শেষ হয়নি পাঁচ বছরেও। ফলে ঝুঁকিপূর্ণ একটি ছোট্ট ভবনে গাদাগাদি করে পাঠদান কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন উপজেলার চরভূতা ইউনিয়নের হাজিগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

জানা যায়, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ভোলার বাস্তবায়নে নির্বাচিত বেসরকারি স্কুল সমূহের উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২০১৯-২০ অর্থ বছরে ৩ কোটি ২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে হাজীগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাঁচতলা ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইলি এন্টারপ্রাইজ। ২০১৯ সালের এপ্রিলে শুরু হওয়া কাজ ২০২০ সালের অক্টোবরে সম্পন্ন হওয়ার কথা থাকলেও দীর্ঘ পাঁচ বছরেও তা সম্পন্ন না হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বর্তমানে জরাজীর্ণ একটি একতলা ভবনের ৪টি কক্ষে প্রায় ৪শত শিক্ষার্থী কে গাদাগাদি করে পাঠদান করা করানো হচ্ছে।

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানায়, প্রায়ই এ ভবনের ছাদ থেকে প্লাস্টার খসে পড়ে। ভবনের ছাদ, দেয়াল ও পিলারে বড় বড় ফাটল। এসব দেখেও এই ভবনের নিচে বসে পড়ালেখা করতে ভয় লাগে।

হাজীগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুলতানা আকতার বলেন, বিদ্যালয়ের নতুন ভবন পেয়েছি, যেটার কাজ শুরু হয়েছে পাঁচ বছর আগে। সেটা এখনও সম্পন্ন না হওয়ায় বাধ্য হয়ে ভাঙাচোরা ভবনে পাঠদান করাতে হচ্ছে। সামনে শিক্ষার্থী আরও বাড়বে, তখন হয়তো মাঠে পাঠদান করাতে হবে। ভবনের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বারবার জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি।

নতুন ভবনের কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ করে তিনি আরও বলেন, কাজ যেটুকু করা হয়েছে, সেটুকুও নিন্মমানের ইট ও সামগ্রী দিয়ে। স্টিল সাটারিংয়ের কাজ চলছে বাঁশ দিয়ে। এনিয়ে বাঁধা দেয়ায় ঠিকাদার শাহাবুদ্দিনের ছেলে লোকজন নিয়ে এসে হুমকি দিয়ে গেছে।

এদিকে ভবন নির্মাতা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইলি এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী খোকন গোলদার বলেন, কাজটি আমার কাছ থেকে লালমোহনের শাহাবুদ্দিন নিয়েছে। তাকে বারবার গুঁতিয়েও কাজ করানো যাচ্ছে না। বলেছি কাজটি ফিরিয়ে দিতে, সেটাও করছেনা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভবনে ভায়া ঠিাকাদার শাহাবুদ্দিন বলেন, আমার পিছনে আপনাদের কে লাগিয়েছে কে? ঠিকাদারি আপনারা বুঝবেন না, আমারটা আমি ভালো বুঝি।

ভবন নির্মাণ কাজের তদারকি কর্মকর্তা জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ভোলা সদর উপজেলার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো: মনির হোসেন বলেন, ইতোমধ্যে কাজটি সম্পন্ন করতে অনেক দেরি করে ফেলেছে ঠিকাদার। তবুও

কাজটি দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে একটি নির্দিষ্ট সময় দেয়া হয়েছে। ওই সময়েরও ব্যাত্যয় ঘটলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাজীগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ লালমোহন উপজেলায় আরও দুইটি বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের কাজ পেয়েছে একই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সবগুলো কাজই ধীরগতির, ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by