দেশজুড়ে

শীতের আগমনে ফুটপাতে পিঠা বিক্রির ধুম

  প্রতিনিধি ১৪ নভেম্বর ২০২৩ , ৪:৫৮:৫০ প্রিন্ট সংস্করণ

শীতের আগমনে ফুটপাতে পিঠা বিক্রির ধুম

ভোলার লালমোহন উপজেলার বিভিন্ন ফুটপাতের ওলি-গলিতে শীতের শুরুতে জমে উঠেছে ভাপা ও চিতই পিঠা বিক্রির ধুম। দেখা যায় উপজেলার ফুটপাতে সন্ধ্যার পর পর’ই ভাপা ও চিতাই পিঠা বিক্রির দোকান গুলোতে পিঠার স্বাদ নিতে ভিড় জমান বিভিন্ন বয়সের ও নানা শ্রেণী পেশার মানুষ।

সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার চৌরাস্তার উত্তর ও পূর্ব পাশসহ উত্তর বাজার অটোস্ট্যান্ডের ফুটপাতের ওলি-গলিতে চলছে শীতের পিঠা ভাপা ও চিতই পিঠা বিক্রির ধুম। বিশেষ করে সন্ধ্যার পরেই জমে উঠে পিঠা বিক্রির দোকান গুলো। 

এদের মধ্যে অনেকে’ই পিঠা বিক্রি করে পরিবারে অর্থ যোগান দিয়ে থাকে। অসচ্ছল পরিবারের মাঝে কিছুটা আর্থিক সচ্ছলতা আনার জন্য ফুটপাতে পিঠা তৈরি করছেন। আবার পরিবারে কোনো উপার্জনকারী না থাকায় বাধ্য হয়ে এই ব্যবসা করে চলছে।

বাংলাদেশে শতাধিক ধরনের পিঠার প্রচলন রয়েছে। কালের গভীরে কিছু হারিয়েও গেছে। তবে রাস্তার পাশের পিঠার এই দোকানগুলোতে কয়েক ধরনের পিঠা পাওয়া যায়। ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা, ডিম চিতই, পাটিসাপটা পিঠা তৈরি করতে দেখা যায়। 

একেক ধরনের পিঠার একেক রকম দাম, সাধারণত চিতই পিঠা, ভাপা পিঠা ৫ টাকা, নকশি পিঠা, ডিম চিতই পিঠা বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়।

দেখা যায়, চালের গুঁড়া, নারকেল, খেজুরের গুড় দিয়ে বানানো হয় ভাপা পিঠা। গোল আকারের এ পিঠা পাতলা কাপড় দিয়ে পেঁচিয়ে ঢাকনা দেয়া হাঁড়ির ফুটন্ত পানিতে ভাপ দিয়ে তৈরি করা হয়। এ কারণেই এর নাম ভাপা পিঠা। চালের গুঁড়া পানিতে গুলিয়ে মাটির হাঁড়িতে বিশেষ উপায়ে তৈরি করা হয় চিতই পিঠা। অতি সাধারণ এই পিঠাটি গুড় বা ঝাল শুঁটকি ভর্তা দিয়ে খেতে খুব’ই মজা।

এক পিঠা বিক্রেতা জানান, আমরা সারাদিন বিভিন্ন কাজে ব্যাস্ত থাকি, অবসর সময় বাড়তি আয়ের জন্য বিকাল বেলা পিঠা বানানো নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে পড়ি। শীত আসতেই দোকানে কাজের চাপ অনেক। পিঠা বানানো থেকে শুরু করে ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে ব্যাস্ত সময় পার করতে হয়। প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলে পিঠা বানানো ও বিক্রি।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by