দেশজুড়ে

শীতের আগমনে বান্দরবানে আসতে শুরু করেছে পর্যটক

  প্রতিনিধি ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩ , ৬:০৮:১২ প্রিন্ট সংস্করণ

শীতের আগমনে বান্দরবানে আসতে শুরু করেছে পর্যটক

শীতের আমেজ শুরু হয়েছে পাহাড়ে, বাংলা পৌশ মাস ও মাঘ মাসের দিকে শীতের সময়,ভোর বেলায় ঘন  কুয়াসার চাদরে ঘেরা পাহাড়ের প্রকৃতির দেখা মিলছে।

ভোরের স্নিগ্ধ সকালে দেখা মিলবে কুয়াশার চাদরে ঢেকে আছে পাহাড়ের বিস্তীর্ণ প্রান্তর। সবুজ ঘাসের উপর খানিকটা সুর্যের আলো পড়লেই মুক্তোর মত জ্বল জ্বল করছে শিশির বিন্দু গুলো।

কুয়াশার ভোরে  দুর পর্যন্ত দেখা যায় না,উচু নিচু পাহাড়ে কুয়াশার ভেসে বেড়ানোর এমন দৃশ্য দেখলে মন জুড়িয়ে যায়। অদ্ভুত অনুভূতিতে শিহরিত হয় মন।

শীতের শুরুতে এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে দেশের দুরদুরান্তের জেলা হতে পর্যটকদের ভীড় জমে পাহাড় কণ্যা বান্দরবানে।জেলা সদর ছাড়াও উপজেলা গুলোর পর্যটন কেন্দ্র গুলোতে তুলনামূলক দর্শনার্থী সংখ্যা বাড়তে থাকে।

এছাড়াও বেশির ভাগ পর্যটক এই সময়টা বেছে নেয় ভ্রমনের জন্য।প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য্য দেখার নেশায় পর্যটকরা ছুটে চলে পাহাড়,নদী আর ঝর্নার জলরাশি উপভোগ করতে।

পর্যটকদের ভ্রমনের তালিকায় প্রথম পছন্দের তালিকায় স্থান পাচ্ছে মেঘলা,নীল আচল,নীল গিরি,শৈল প্রপাত,চিম্বুক,নাফা কুম,ডিম পাহাড়,বড় পাথর,রাজা পাথর,তিন্দু,রেমাক্রি জলপ্রপাত সহ আরো অনেক পর্যটন স্পট।

সুদুর দিনাজপুর থেকে বান্দরবানে ঘুরতে এসেছেন রাহাত,দীর্ঘদিন পর সকল পর্যটন স্পট গুলো ঘুরে পাহাড়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার ইচ্ছের কথা জানালেন ভোরের দর্পণ  কে।

বান্দরবান ঘুরতে এসেছেন রবিউল সহ তার কলেজের ৯ জন সহপাঠী জানালেন হরতাল অবরোধ না থাকায় ঘুরতে এসেছেন,দীর্ঘদিন পর বান্দরবানের পর্যটন স্পট গুলোতে ঘুরতে পেরে তারাও আনন্দ উপভোগ করছেন।

মৃদুল তালুকদার দম্পতি এসেছেন মুন্সীগঞ্জ থেকে নিলাচল পর্যটন কেন্দ্রে উঠেছেন নীলাচলের নিজস্ব রিসোর্টে,বিয়ের পর  হানিমুনের জন্য বেছে নিয়েছেন পাহাড় কণ্যা বান্দরবান কে,মুগ্ধ হয়েছেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে।

ঘুরতে আশা মুন্না দম্পতি পর্যটক যানালেন প্রকৃতির সৌন্দর্যের মোহে বান্দরবান ছুটে এসেছেন যাতায়াতের রাস্তাঘাট এখন আগের চেয়ে উন্নত হয়েছে ঘুরে এসেছেন চিম্বুক, ডিম পাহাড়,তার মতো আরো অনেকেই ছুটে আসবেন এই শীতে প্রকৃতির প্রেমে এমনটাই আশাবাদ ব্যক্ত করেন এই পর্যটক।

পর্যটক আশায় খুশি গাড়ি চালকরা জানালেন পূর্বের মতো পর্যটক আসলে তাদের ব্যবসায়িক ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবেন।

শৈলপ্রপাত পর্যটন কেন্দ্রের পাশেই শৈলপ্রপাত হস্তশিল্প দোকানের দোকানী আইরিন বম জানালেন পূর্বের চেয়ে পর্যটক বেড়েছে যদি রাজনৈতিক হরতাল অবরোধের মতো কর্মসূচি না থাকে তাহলে বাড়বে পর্যটক ফিরবে ব্যবসায় সুদিন।

আবাসিক হোটেল মালিক মোজাফফর জানালেন দীর্ঘদিন পার্বত্য বান্দরবানে নানা জটিলতা কাটিয়ে পর্যটন স্পট গুলো উন্মুক্ত হওয়ায় আবারো আসতে শুরু করেছে পর্যটক।

বান্দরবান আবাসিক হোটেল রিসোর্ট অনার্স অ্যাসোসিয়েশন এর সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ জসিম উদ্দিন ভোরের দর্পণ  কে বলেন বছরের  শীতের এই সময়টাতে মূলত বিভিন্ন জেলা হতে পর্যটকদের আনাগোনা বেশি থাকে,তাই পর্যটন ব্যবসায় কিছুটা চাঙ্গা ভাব থাকে,তবে পাহাড়ে সাম্প্রতিক অস্থিরতা  , বন্যা সর্বপরি রাজনৈতিক অস্তিরতা, হরতাল অবরোধের মত কর্মসূচি থাকায় পর্যটনশীল্পে এর বিরুপ প্রভাব পড়েছে।তবে মাসের শুরুতে  জেলার প্রায় সব পর্যটন স্পট গুলো খুলে দেয়ায় পর্যটন  সমাগম বৃদ্ধি পাচ্ছে এছাড়া সরকারি ছুটি ও বন্ধের দিনে পর্যটন কেন্দ্র গুলোতে থাকে দর্শনার্থীদের সমাগম।

দুরদুরান্তের জেলা হতে আশা পর্যটকরাও খুশি দীর্ঘদিন পর বান্দরবানের বেশিরভাগ   পর্যটন কেন্দ্র গুলো ঘুরে দেখতে পেরে।

এছাড়াও জেলার থানচি, ও রুমা উপজেলায়  বেশ কয়েকটি পর্যটন স্পট সম্প্রতি উন্মুক্ত রয়েছে সকলের জন্য।

তাই দীর্ঘদিন ঝিমিয়ে থাকা আবাসিক  হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট,পরিবহন,টুরিস্ট গাইড ব্যবসা সহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা গুলোতে ফিরেছে ব্যস্ততা।

দীর্ঘদিন জেলায় পর্যটক সমাগম কম হওয়ায় লোকসান হয়েছে অনেক যা কাটিয়ে আবার স্বাভাবিক হচ্ছে পর্যটন শীল্প সংশ্লিষ্ট ব্যবসার পরিবেশ।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by