দেশজুড়ে

শ্রীপুরে নারায়ণগঞ্জ থেকে লোকজন প্রবেশ করায় আতঙ্ক বাড়ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের

  প্রতিনিধি ১০ এপ্রিল ২০২০ , ৭:৫৬:৪৫ প্রিন্ট সংস্করণ

 

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি: বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন এলাকা দিয়ে নারায়নগঞ্জ থেকে গাজীপুরের শ্রীপুরে লোকজন প্রবেশ করায় শ্রীপুরের স্থানীয় বাসিন্দাদের মনে আতঙ্ক বাড়ছে। তারা বলছেন এখনই যদি নারায়নগঞ্জ থেকে শ্রীপুরে লোকজন প্রবেশে প্রশাসন কঠোর না হয় তাহলে অল্প দিনের মধ্যে শ্রীপুরবাসীকে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় চরম বিপাকে পড়তে হবে। তবে শ্রীপুরবাসীর এ অভিযোগকে আমলে নিচ্ছেন না স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। তারা বলছেন আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি সকল শ্রেণীর মানুষকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার জন্য।  

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিভিন্নভাবে তারা জানতে পারছেন প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দিয়ে নারায়নগঞ্জ থেকে প্রতিদিন তাদের এলাকায় লোকজন আসছে। যারা শ্রীপুরে আসছে তারা নারায়নগঞ্জের বিভিন্ন কারখানায় চাকুরী করছে। পাশাপাশি গাজীপুর ও নারায়নগঞ্জ শিল্প অধ্যুষিত এলাকা হওয়ায় উভয় এলাকার লোকদের মধ্যে একটা ব্যবসায়ীক সম্পর্ক রয়েছে। তাই ব্যবসা চলমান রাখার জন্য ওইসব ব্যবসায়ীদের আসা-যাওয়া অব্যাহত রয়েছে।   

শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা (আরএমও) কর্মকর্তা এ এস এম ফতেহ আকরাম জানান, শুক্রবার (১০ এপ্রিল) পর্যন্ত উপজেলায় জ¦র, সর্দি-কাশি, গলাব্যথাসহ শ্বাসকষ্ট রয়েছে এরকম মোট ২১ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকার রোগতত্ত¡, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে ১১ জনের রিপোর্ট আমরা হাতে পেয়েছি যাদের সবার করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) নেগেটিভ পাওয়া গেছে। বাকি ১০ জনের রিপোর্ট এখনো আমরা হাতে পায়নি। 

তিনি জানান, করোনা পরিস্থিতিতে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১২৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী একটি পৌরসভা ও ৮টি ইউনিয়নে মাঠে ২৪ ঘন্টা কাজ করছে। এর মধ্যে স্বাস্থ্য পরিদর্শক (এইচ আই) ৪ জন, সহকারী-স্বাস্থ্য পরিদর্শক (এএইচ আই) ১১ জন, স্বাস্থ্য সহকারী (এইচএ) ৫৮ জন এবং কমিউনিটি হেলথ্ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) ৫২ জন।    

আবাসিক চিকিৎসা (আরএমও) কর্মকর্তা আরো জানান, জ¦র, সর্দি-কাশি, গলাব্যথাসহ শ্বাসকষ্টের নমুনা সংগ্রহের ২১ জনের মধ্যে ১২ জনই নারায়ণগঞ্জ থেকে এসেছেন। এ মুহূর্তে করোনাভাইরাস ছড়ানোর অন্যতম বড় স্থান নারায়ণগঞ্জ। সারা দেশেই নারায়ণগঞ্জ থেকে যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে করোনাভাইরাসের রোগী পাওয়া যাচ্ছে।

শ্রীপুর-কালিয়াকৈর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আল-মামুন জানান, যেহেতু সরকারের পক্ষ থেকে শ্রীপুর উপজেলায় লক ডাউন ঘোষনা করা হয়নি তাই লোকজন তাদের জরুরী কাজে আসতেই পারে। তারপরও আমরা যদি শুনতে ও জানতে পারি নারায়নগঞ্জ থেকে শ্রীপুরে কোনো লোক আসছে তাহলে আমাদের সদস্যরা তার বাড়ীতে গিয়ে ওই ব্যাক্তিকে কোয়ারেন্টিনে থাকার জন্য বিশেষভাবে পরামর্শ দিয়ে আসে। পাশাপাশি স্থানীয় গ্রাম পুলিশকেও ওই বাড়ীতে সার্বক্ষনিক নজর রাখতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।    
 

আরও খবর

Sponsered content

Powered by