বাংলাদেশ

সিইসিকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে : সুজন

  প্রতিনিধি ২৯ জানুয়ারি ২০২২ , ৫:০৫:২৯ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক:

মানহানিকর কথা বলার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। 

ভার্চুয়ালি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক বলেন, অসদাচরণ ও দুর্নীতির অভিযোগের আজ হোক-কাল হোক সিইসি নূরুল হুদাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।

আজ শনিবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় সুজন এ ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার মিথ্যচারের প্রতিবাদ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সংগঠনটি। এতে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি এম হাফিজ উদ্দিন খান।

সংবাদ সম্মেলনে ড. তোফায়েল আহম্মেদ, এম হাফিজউদ্দীন খান, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, দিলীপ কুমার সরকারসহ সুজনের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

শাহদীন মালিক বলেন, একটা পদে থাকলে তার যখন সমালোচনা করা হয় এবং সমালোচনার যদি কোনও সদুত্তর না থাকে, কৃতকার্যের কোনও ব্যাখ্যা না থাকে তখন সবচেয়ে সহজ পন্থা হলো সমালোচনা এড়িয়ে যাওয়ার জন্য সমালোচককে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করা। এটা অবশ্যই নিকৃষ্ট পন্থা; কিন্তু এখন দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের রাজনৈতিক বয়ানে এটাই মুখ্য হয়ে উঠেছে। সমালোচনা করলে সমালোচনাকে পাশ কাটিয়ে সমালোচককে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করা।

তিনি বলেন, আমার ব্যক্তিগত প্রতিক্রিয়া হলো সিইসি নূরুল হুদার বক্তব্যে ড. বদিউল আলম মজুমদারকে যে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করেছেন এতে আমি মোটেও আশ্চর্য হইনি।

তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করবো, তার এই কৃতকার্যের জন্য, আমাদের নির্বাচন ব্যবস্থাকে ভণ্ডুল করার জন্য, বদিউল আলম মজুমদার একটা কলামে কদিন আগে লিখেছিলেন ‘নির্বাচন এখন নির্বাসনে গেছে’ —সেই নির্বাচনকে নির্বাসনে পাঠানোর জন্য এবং আমরা তার বিরুদ্ধে যেসব অসদাচরণ, দুর্নীতির অভিযোগ এনেছি, আমার নিশ্চিত বিশ্বাস এটা আজ হোক, কাল হোক, পরশু হোক তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।

মানহানির অভিযোগে সিইসির বিরুদ্ধে আইনগত কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন আদালতে গেলে রেমিডি পাওয়া যাবে কি না। এটা একটা বিবেচ্য বিষয়। তবু আমরা আলোচনা করবো। আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব। নিঃসন্দেহে এতে আমার মানহানি ঘটেছে। আমার ব্যক্তিগতই নয় শুধু, পুরো প্রতিষ্ঠানে এবং এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যারা যুক্ত আছেন, অসংখ্য মানুষ সারা দেশের—তাদের সবার মানহানি তিনি ঘটিয়েছেন।

তিনি বলেন, সিইসি নূরুল হুদার মিথ্যাচারে আমরা স্থম্ভিত। সিইসি হুদাকেই এসব অভিযোগের প্রমাণ দিতে হবে। একইসঙ্গে জবাব দিতে হবে- তার কাছে এ সম্পর্কে কোনোরূপ তথ্য থাকলে তিনি কেন তা প্রকাশ করলেন না? কেন অভিযোগটি  তদন্ত করলেন না? দুর্নীতি দমন কমিশনেই বা কেন তা পাঠালেন না?

আরও খবর

Sponsered content

Powered by