দেশজুড়ে

সীমান্তের ওপারে অনবরত গোলাগুলি, মর্টার শেল পড়ল এপারে

  প্রতিনিধি ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ , ৪:২৩:১৬ প্রিন্ট সংস্করণ

সীমান্তের ওপারে অনবরত গোলাগুলি, মর্টার শেল পড়ল এপারে

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের জলপাইতলী, বাজার বাজার পাড়ার  এলাকার মানুষ আতঙ্কে ঘর থেকে বের হচ্ছেন না  ফাঁকা পড়ে আছে তুমব্রু বাজার, বেতবুনিয়া বাজার স্কুল, মাদ্রাসা।

গতকাল সোমবার রাত ৯টা থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টা পর্যন্ত অনবরত গোলাগুলির শব্দে আতঙ্কে ভয়ের মধ্যে  রাত কাটিয়েছে এপারের বাসিন্দারা। 

ওপারে মিয়ানমারের ঢেঁকুবুনিয়া সীমান্তচৌকি ঘিরে রাতভর গোলাগুলি ও মর্টার শেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এতে কেঁপে কেঁপে ওঠে বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকার অন্তত ৮ টি গ্রাম। 

মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টারশেল এসে পড়ে ঘুমধুম ইউনিয়নের মধ্যমপাড়া  মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম এর বাড়ির পাশে সেখানে ছৈয়দ নুর সিকদারের বাড়ির জানালার কিছু অংশ ফেটে গেছে এতে কোন হতাহতের ঘটনা হয়নি বলে জানালেন ইউপি সদস্য দিল মোহাম্মদ ভুট্টো। 

প্রতিদিনের মতো আজও কোন মানুষ কাজকর্মে বের হয়নি দোকানপাট বন্ধ থাকায়  নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস ও নিতে পারছে না স্থানীয় সীমান্ত লাগুয়া গ্রামের জনসাধারণ।

আজ মঙ্গলবার সকাল ছয়টা থেকে ১০টা পর্যন্ত ঘুমধুমের মধ্যমপাড়া এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, গ্রামে কয়েকজন পুরুষ ছাড়া কেউ নেই। নারী-শিশুরা গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র অবস্থান নিয়েছে,সবার মধ্যে গোলাগুলির ভয় কাজ করছে।

স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় ওপারে মিয়ানমারের ঢেঁকুবুনিয়া সীমান্ত চৌকি  দখলকে কেন্দ্র করে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরকান আর্মি (এএ) ও মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি ও মর্টারশেল নিক্ষেপ করা হচ্ছে যার ফলে আতঙ্ক বেড়ে যায় সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে।

বেতবুনিয়া এলাকার বাসিন্দা এনামুল হক বলেন এখন যতটুকু ভয় পাচ্ছে মানুষ, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ও এত ভয় পাই নি।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন সোমবার দিবাগত রাতে সংঘর্ষ চলাকালে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর অন্তত আরো ৭ জন সদস্যকে পালিয়ে বাংলাদেশে ঢুকতে দেখা গেছে।

এদিকে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) কয়েকটি ক্যাম্প দখলে নিয়েছে বলে দাবি করেছে বিদ্রোহী আরকান আর্মির সদস্যরা,তাদের ধারণ করা একটি ভিডিওতে দেখা যায় বিজিপি ক্যাম্প দখলের পর সেখান থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ গাড়িতে তুলছে তারা।

এদিকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বিদ্রোহীদের সঙ্গে চলমান সংঘর্ষের জেরে এখন পর্যন্ত দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ১১৪ জন সদস্য অস্ত্রসহ বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, নতুন করে যারা প্রবেশ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) তাদেরকে নিরস্ত্রীকরণ করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত আশ্রয় নেওয়া বিজিপির সদস্য সংখ্যা ছিল ১১৩। পরে আরও দুজনকে রিসিভ করলে সে সংখ্যা হয় ১১৫। এরপর বিজিপির সদস্যসহ বিভিন্ন বাহিনীর আরও ১১৪ জন প্রবেশ করেন।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by