বাংলাদেশ

স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে দেশের একটা মানুষও গৃহহীন থাকবে নাঃ প্রধানমন্ত্রী

  প্রতিনিধি ১৪ জানুয়ারি ২০২১ , ১:০৮:১২ প্রিন্ট সংস্করণ

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশের একটা মানুষও গৃহহীন থাকবে না। প্রতিটি মানুষের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে যাবে বলে  জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দেশে কেউ ঘর ছাড়া থাকবে না এবং কারও ঘর অন্ধকার থাকবে না। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে আমরা কাজ করছি।’

বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে গণভবনে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির বিভিন্ন উপকারভোগীদের ভাতা মোবাইল ফোনে পৌঁছে দেয়ার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

সরকার দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৯৬ সালে সরকার গঠনের পর মুক্তিযোদ্ধা, বৃদ্ধ ও স্বামী পরিত্যক্তা মানুষদের সহায়তায় কাজ শুরু করি। পরবর্তী সময়ে প্রতিবন্ধীসহ বিভিন্ন পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য ভাতার ব্যবস্থা করেছি। গৃহহীন মানুষকে ঘর তৈরি করে দেয়া ও বস্তিবাসীদের উন্নয়নেও আমরা কাজ করেছি।’

জাতির পিতার আদর্শ ও স্বপ্নের দেশ গড়ে তোলাই বর্তমান সরকারের প্রধান লক্ষ্য জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা অসহায় ও দুস্থ মানুষের মুখে হাসি ফোঁটানোর মতো কঠিন কাজ বাস্তবায়নে নিজের জীবনের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য পরিত্যাগ করে কাজ করে গেছেন। মৃত্যুকে সামনে দেখেও তিনি লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হননি। জাতির পিতার থেকে পাওয়া সে শিক্ষাকে পুঁজি করেই অসহায় মানুষের জন্য আমরা কাজ করছি।’

বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ‘জাতির পিতা যখন সমগ্র বাংলাদেশকে আধুনিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার যখন পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, তখন তাকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। পরবর্তী সময়ে আমি মানুষের সমর্থন নিয়ে দেশে ফিরে আসি। বাবার মতো দুস্থ মানুষের কষ্ট দেখতে সারা বাংলাদেশ ঘুরে বেড়িয়েছি। মাইলের পর মাইল হেঁটে তাদের কষ্ট দেখেছি। তখন থেকে আমরা দলের পক্ষ থেকে মানুষের পাশে থেকেছি।’

প্রধানমন্ত্রী আরো জানান, মুজিব বর্ষে দেশে এক কোটি গাছ লাগানোর পরিকল্পনা নেয়া হয়েছিল। তবে এক কোটির বেশি গাছ লাগানো হচ্ছে বলে জানান তিনি।

শুধু সরকারি উদ্যোগ নয়, অসহায় ও গৃহহীনদের সহায়তার জন্য সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান সরকারপ্রধান।

বক্তৃতা শেষে প্রধানমন্ত্রী মোবাইলের মাধ্যমে ভাতাভোগীদের কাছে টাকা পৌঁছে দেয়ার প্রক্রিয়ার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন। পাশাপাশি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হওয়া বিভিন্ন জেলার ভাতাভোগীদের সঙ্গে কথা বলেন।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by