বাংলাদেশ

হারিছ চৌধুরীর মৃত্যু নিশ্চিত হলে ডিএনএ পরীক্ষা করবে পুলিশ

  প্রতিনিধি ৭ মার্চ ২০২২ , ৫:১৬:৫৭ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক:

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব ও বিএনপির সাবেক নেতা হারিছ চৌধুরীর মৃত্যু নিয়ে গণমাধ্যমে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে, তা নিয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি বলছে, তাদের তদন্তে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তবে পুলিশ সদর দপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, তদন্তে হারিছ চৌধুরীর মৃত্যু নিশ্চিত হলে আইনি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে মরদেহ তুলে ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে।

পুলিশের তালিকায় পলাতক হারিছ চৌধুরী মারা গেছেন বলে দৈনিক মানবজমিন খবর প্রকাশ করে। এরপর একটি অনলাইন জানায়, তিনি ঢাকায় মারা গেছেন। সেসব খবরের ব্যাপারে নিশ্চিত হতে তদন্তে নামে পুলিশ। তবে গতকাল পর্যন্ত পুলিশ সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারেনি।

এর মধ্যে গতকাল রোববার ওই দৈনিকে প্রকাশিত আরেকটি খবরে বলা হয়, হারিছ চৌধুরীকে ‘মাহমুদুর রহমান’ পরিচয়ে ঢাকার সাভারের জালালাবাদে একটি মাদ্রাসার কবরস্থানে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসের ৪ তারিখ দাফন করা হয়েছে। ওই খবরে হারিছ চৌধুরীর মেয়ে ব্যারিস্টার সামিরা চৌধুরী জানান, তাঁর বাবা গত ১১ বছর রাজধানীর পান্থপথের একটি বাড়িতে আত্মগোপন করে ছিলেন। সে বাড়িতে থাকার সময় তিনি করোনায় আক্রান্ত হন। এরপর গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর তাঁকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন থাকার সময় সেখানেই তিনি মারা যান।

ওই দৈনিকের প্রতিবেদনে বলা হয়, গোয়েন্দাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে গত ১৪ বছর ঢাকাতেই ছিলেন হারিছ চৌধুরী। ওয়ান-ইলেভেনের পরপরই কিছুদিন তিনি সিলেটে অবস্থান করেন। ঢাকায় আসার পর নিজের নাম বদল করে রাখেন অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান। মৃত্যুর আগপর্যন্ত তিনি সে নামেই পরিচিত ছিলেন। শুধু তাই নয়, মাহমুদুর রহমান নামে তিনি পাসপোর্টও করেন। এতে ঠিকানা দেওয়া হয় শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার। বাবার নাম আবদুল হাফিজ। ২০১৮ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকা থেকে এই পাসপোর্ট ইস্যু হয়।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্র বলছে, হারিছ চৌধুরীর মৃত্যু ও তাঁর দাফনের বিষয়টি সামনে আসায় নতুন করে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।

গতকাল ওই অনলাইনের খবরে বলা হয়, ঢাকার সাভারের জালালাবাদ এলাকায় ওই মাদ্রাসার কবরস্থানে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বছরের ৪ সেপ্টেম্বর আসরের নামাজের পর ‘মাহমুদুর রহমান’ নামের একজনকে দাফন করা হয়। এই মরদেহ সামিরা নামের এক নারী নিয়ে যান। সামিরা নিজেকে মৃত ব্যক্তির মেয়ে বলে পরিচয় দেন। পাঁচ লাখ টাকা অনুদান দিয়ে তিনি তাঁর বাবাকে দাফন করাতে রাজি করান।

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় হারিছ চৌধুরীর যাবজ্জীবন সাজা হয়। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তাঁকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা ও বিস্ফোরক মামলারও আসামি ছিলেন হারিছ চৌধুরী। গত ১৪ বছর ধরে তাঁকে হন্যে হয়ে খুঁজেছিল পুলিশ ও গোয়েন্দারা।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by