বাংলাদেশ

১৯৮৩ সাল থেকে চলছে তিস্তার পানি নিয়ে দরকষাকষি

  প্রতিনিধি ৪ মার্চ ২০২১ , ৫:৩৮:১২ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক:

তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে বাংলাদেশ-ভারত চুক্তির কথা বলা হচ্ছে গত কয়েক দশক ধরে। কিন্তু আশ্বাসেই থেমে আছে তা। প্রতিনিয়ত আলোচনার টেবিলেই ঘুরপাক খাচ্ছে তিস্তা ইস্যু। এবারো ভারত বলেছে, আলোচনা করে সব সমস্যার সমাধানে তারা আশাবাদী।

বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) ঢাকায় দুই দেশের পররাষ্ট্র পর্যায়ের বৈঠক শেষে সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর তিস্তা ইস্যুতে সাংবাদিকদের প্রশ্ন এড়িয়ে বললেন, ভারতের অবস্থান আগের মতই। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, সব ইস্যুতে দুদেশের আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে।

একদিনের সফরে ঢাকায় এসে সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রামানিয়াম জয়শঙ্কর ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে করেন।

এবার একনজরে দেখা নেয়া যাক তিস্তা নিয়ে দুই দেশের আলোচনা ও আশ্বাসের খতিয়ানের অংশ:

তিস্তা, যার পানি নিয়ে প্রতিবেশী দুই দেশ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দরকষাকষি চলছে সেই ১৯৮৩ সাল থেকে।

২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরের সময় বহুল আলোচিত তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি সইয়ের কথা ছিল। অন্তর্বর্তীকালীন সেই চুক্তি সময়কাল ধরা হয়েছিলো ১৫ বছর। চুক্তি অনুযায়ী তিস্তা নদীর পানির ৪২.৫ শতাংশে ভারতের অধিকার ও ৩৭.৫ শতাংশ বাংলাদেশের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতায় ভেস্তে যায় তিস্তা চুক্তি সাক্ষর।

২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকে ঘিরে আশা তৈরি হয় তিস্তা চুক্তি সাক্ষরের। সফরে তিনি বৈঠকে বসেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে। কিন্তু সেবারও বেঁকে বসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হয়নি তিস্তা চুক্তি।

এমনকি ২০১৫ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ঢাকা সফরে এসে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তিস্তার চুক্তির ব্যাপারে ইতিবাচক ভূমিকা রাখার আশ্বাস দিলেও ফল হয়নি। এরমধ্যে কেটে গেছে ছয় বছর।

কিন্তু সুরাহা হয়নি প্রতিবেশী দুই দেশ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার গুরুত্বপূর্ণ তিস্তা নদীর পানি বণ্টনের চুক্তিটি। যদিও ২০২০ সালের ডিসেম্বরে দুই দেশের সরকারপ্রধানের মধ্যকার অনুষ্ঠিত হওয়া ভার্চুয়াল সম্মেলনে তিস্তা চুক্তির বিষয়ে বাংলাদেশকে আশ্বাস দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

একইসঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আসন্ন বাংলাদেশ সফরে তিস্তাসহ বাকি নদীগুলোর পানি বণ্টন নিয়েও আলোচনা হবে বলে আশা প্রকাশ করা হচ্ছে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by