রাজশাহী

৪৮ ঘণ্টাতেও খোঁজ মেলেনি রহস্যময়ভাবে নিখোঁজ মা-মেয়ের

  প্রতিনিধি ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ , ৭:১০:৩৭ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক:

বাবার বাড়ি থেকে রিকশা যোগে স্বামীর বাড়ি যাওয়ার পথে শিশুসহ এক গৃহবধূ নিখোঁজ হয়েছেন। ঘটনার দুদিন পার হলেও হদিস মেলেনি তাদের। 

সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নওগাঁ শহরের জগৎসিংহপুর থেকে বগুড়ার আদমদিঘি উপজেলার সান্তাহারের ছোট মালসন (আমঝুপি) গ্রামে রিকশায় করে যাওয়ার পথে মা-মেয়ে নিখোঁজ হন বলে জানিয়েছেন তার বাবা সোহেল রানা।

নিখোঁজ গৃহবধূ সুরভী আক্তার সিঁথি (২২) ও তার মেয়ে চাঁদনি (২২ মাস)। সিঁথি ছোট মালসন এলাকার একরামুল হক সাগরের (৩৪) স্ত্রী। একরামুল এক বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করেন।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার বিকেলে নওগাঁ সদর মডেল থানায় একরামুল হক সাগর সাধারণ ডায়েরি করেছেন বলে জানিয়েছেন নওগাঁ সদর মডেল থানার ওসি সোহরাওয়াদী হোসেন। তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।

নিখোঁজের স্বামী একরামুল বলেন, ‘গত সোমবার বিকেল ৫টায় আমার শ্বশুরবাড়ি নওগাঁ থেকে রিকশায় করে আমার স্ত্রী-সন্তানের সান্তাহারে আমার বাড়িতে আসার কথা ছিল। এসময় আমি আমার কর্মস্থল নওগাঁর সাউথ ইস্ট ব্যাংকে ছিলাম। সন্ধ্যা পর্যন্ত মা-মেয়ে বাড়িতে না পৌঁছানোয় এবং স্ত্রীর ফোন বন্ধ থাকায় শ্বশুরকে ফোন করেন বলেও জানান তিনি।

নিখোঁজ সুরভীর বাবা সোহেল রানা বলেন, সোমবার বিকেল ৫টার দিকে আমাদের বাড়ি থেকে আমার মেয়ে নাতনীকে নিয়ে জামাইয়ের বাড়ি যাওয়ার জন্য রিকশায় করে রওনা দেয়। এরপর সন্ধ্যার দিকে আমার জামাই ফোন করে বলে যে মেয়ে ও নাতনী বাড়ি পৌঁছাইনি।

তিনি বলেন, তখন আমি জামাইকে বললাম যে তোমার বাড়িতে তো যাওয়ার জন্য রওনা দিয়েছে। তাহলে আমার মেয়েটা কই গেল। এর পর সিঁথির ফোনও বন্ধ পাই। জামাইকে সাথে নিয়ে আমরা সবাই মিলে অনেক খোঁজা-খুঁজি করেও কোন সন্ধান পাননি বলেও জানান সুরভীর বাবা।

স্বামী সাগর জানান, তার সঙ্গে স্ত্রীর কোনও ধরনের মনোমালিন্য ছিল না।

সুরভীর বাবাও বলেন,  ‘আমার মেয়ের সাথে জামাইয়ের কোনো ঝামেলা ছিল না। তারা সুখেই বসবাস করছিল।’

আরও খবর

Sponsered content

Powered by