প্রতিনিধি ১১ অক্টোবর ২০২৩ , ৪:০৮:১২ প্রিন্ট সংস্করণ
মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার বন্দরখোলা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি শাহজাহান খান ও এক নারীর মোবাইল ফোনে কল রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
যেখানে ছাত্রলীগ নেতা ওই নারীকে বলছেন, আমি মুরগি চুরি করতে গেলেও সঙ্গে ৮টা পিস্তল নিয়ে যাই। এর উত্তরে ওই নারী বলেন, আপনি কষ্ট করে ছাত্রলীগ নেতা হয়েছেন। ছাত্রলীগের নেতা হয়ে অনেক মেয়েদের সঙ্গে খারাপ কাজ করেছেন।
এরপরে উভয়ের মাঝে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে ছাত্রলীগ নেতা ওই নারীকে গালাগালি দিতে শোনা যায়। তাদের দুইজনের মাঝে এই আলাপচারিতা সম্প্রতি ভাইরাল হওয়ায় এ নিয়ে উপজেলায় আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
শাহজাহান খান উপজেলার বন্দরখোলা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের হালেম খানের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শাহাজাহান ওই নারীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত ছিলেন। পরবর্তীতে ওই নারীর সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হলে তাকে ফোন কলে এসব কথা বলে হুমকি দেন তিনি।
এই বিষয়ে আবির নামে স্থানীয় এক যুবক বলেন, ফোন কল রেকর্ডটি শুনেছি। শাহজাহান মূলত রিমোর্ট এরিয়াতে বসবাস করে। ওখানে এই ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করাটা অস্বাভাবিক না। পরকীয়ার বিষয়টিও মিথ্যা না। তবে সত্যটা যাচাই করলে বের হতে পারে আরও তথ্য।
ফোন কলের অপর প্রান্তে থাকা ওই নারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, কল রেকর্ডটি ভাইরাল হয়ে গেছে। তবে কিভাবে হয়েছে সেটা জানি না। শাহজাহান মূলত একজন প্রতারক। সে আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। সে তার পদ ও ক্ষমতা দেখিয়ে অনেক নারীর সঙ্গে প্রতারণা করেছে। ভালোবাসার কথা বলে আমার থেকে লাখ লাখ টাকাসহ অনেক উপহার সামগ্রী নিয়ে এখন অস্বীকার করছে। বর্তমানে আমাকে বিভিন্ন প্রকার হুমকি ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। আমার বড় দুটি সন্তান আছে। তাই সমাজের ভয়ে চুপ করে আছি।
এই ব্যপারে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ সভাপতি শাহজাহানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও কোনো সাড়া মেলেনি।
শিবচর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজিব ঢালী ঢাকা পোস্টকে বলেন, এরকম ঘটনা তো আমরা শুনিনি। যদি আমাদের কাছে এরকম কোনো অভিযোগ আসে তাহলে আমরা অবশ্যই তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব।
মাদারীপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদ হাসান অনিক বলেন, এ ধরনের অপকর্ম কোনো ছাত্রলীগ নেতা করতে পারে না। যদি এরকম কোনো ঘটনার সঙ্গে শাজাহান জড়িত থাকে অবশ্যই আমরা উপজেলা ছাত্রলীগ নেতাদেরকে বিষয়টি অবগত করব। উপজেলা পর্যায়ে না দেখলে আমরা জেলা থেকে বিষয়টি অবশ্য তদন্ত করব।