প্রতিনিধি ৮ নভেম্বর ২০২০ , ১১:৪৬:৩৪ প্রিন্ট সংস্করণ
ভোরের দর্পণ ডেস্ক:
২০২১ সালের ২০ জানুয়ারি হোয়াইট হাউজে প্রবেশ করবেন বাইডেন। এরপরই শুরু হবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলার যুদ্ধ। যুক্তরাষ্ট্রের আকাশচুম্বী বেকারত্ব আর জলবায়ু পরিবর্তন সংকট সমাধানের হাল ধরতে হবে শুরুতেই। কারণ এ বিষয়গুলোকে কখনোই গুরুত্বের সঙ্গে দেখেননি ট্রাম্প।
নির্বাচনী প্রচারণার সময় থেকেই দেশের অর্থনীতির বেহাল দশা নিয়ে বেশ কিছু পরিকল্পনা করেই রেখেছেন বাইডেন। আগামী ৪ বছরের জন্য শিক্ষার্থীদের ঋণ মওকুফ, পেনশনধারীদের সামাজিক নিরাপত্তা বাড়ানো, বেকারভাতা বাড়ানো, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ঋণ প্রদানসহ, অবকাঠামো নবায়নযোগ্য জ্বালানি আর যাত্রী পরিবহন সেবায় ২ ট্রিলিয়ন ডলার অর্থ বরাদ্দ দেবেন বাইডেন।
ট্রাম্প কর্পোরেট ট্যাক্স কমিয়ে দেয়ায় গেলো কয়েক বছরে অনেক বেড়েছে মার্কিনিদের আয় বৈষম্য। বাইডেনের পরিকল্পনা, তিনি বাড়াবেন কর্পোরেট কর। সর্বনিম্ন হলেও কর পরিশোধ করতে হবে দেশের বাইরে ব্যবসা করা মার্কিন সব প্রতিষ্ঠানকে। তবে সিনেটের সমর্থন ছাড়া বাস্তবতার মুখ দেখবে না তার কোন পরিকল্পনাই। এতো মোটা অঙ্কের ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে বড় প্রণোদনা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য সমর্থন প্রয়োজন রিপাবলিকানদের।
২০২০ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রের মোট বাজেট ঘাটতি ছিলো ৩ ট্রিলিয়ন ডলারের ওপরে। যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে সর্বোচ্চ।