বাংলাদেশ

আইএমএফের শর্ত গরিব মানুষের স্বার্থের পরিপন্থী : জি এম কাদের

  প্রতিনিধি ২৫ জুন ২০২৩ , ৯:৩৩:৩৫ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক :

বিরোধী দলীয় উপনেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, আইএমএফের কাছ থেকে বাংলাদেশ যে ঋণ নিচ্ছে তা খুব বেশি নয়। কিন্তু তাদের শর্ত অনেক, ৩০টি। বিভিন্ন খাতে তারা ভর্তুকি কমাতে বলেছে। এগুলো বেশিরভাগ গরিব মানুষের স্বার্থের পরিপন্থি। দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি কীভাবে এত নিচে গেল যে, এই ঋণ নেয়ার জন্য বাংলাদেশ মরিয়া হয়ে গেছে।

রোববার (২৫ জুন) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, করোনা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারাবিশ্বে কিছু মন্দা সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু কারো কী এমন দুরবস্থা সৃষ্টি হয়েছে? অনেক ক্ষেত্রে আমদানি বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। ডলারের দাম বেড়েছে। সব জিনিসের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। কিছু ভুল সিদ্ধান্তের কারণে সার্বিক সামষ্টিক অর্থনীতি দুর্বল হয়ে পড়েছে। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, মুডিস (ঋণমান নির্ণয়কারী সংস্থা) বাংলাদেশের ঋণ মান কমিয়ে দেয়ায় বাংলাদেশের জন্য বৈদেশিক ঋণ আহরণ কঠিন হয়ে গেছে। টাকা ছাপিয়ে অর্থায়ন করতে হচ্ছে। এতে মুদ্রাস্ফীতির ওপর চাপ বাড়বে। এখনই জনগণ দিশেহারা। সামনে চাপ আরো বাড়বে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা এখন চ্যালেঞ্জ।

অর্থমন্ত্রী বলেছেন, মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশে রাখবেন। এটা হাস্যকর। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাজেটে কোনো দিক নির্দেশনা নেই। এবার ৭ দশমিক ৫ শতাংশ জিডিপি ধরা হয়েছে। এটা বাস্তবসম্মত নয়।

জিএম কাদের বলেন, গার্মেন্টস, প্রবাস আয় ও কৃষি, এই তিনটি খাত দেশের অর্থনীতিকে ধরে রেখেছে। কিন্তু এসব ক্ষেত্রে উন্নয়নের সুনির্দিষ্ট কিছু বাজেটে নেই। আয় না থাকলেও টিন নম্বর থাকলে দুই হাজার টাকা রিটার্ন দিতে হবে, এমন বিধানের সমালোচনা করে বিরোধী দলীয় উপনেতা বলেন, একদিকে এই কর চাপানো অন্যদিকে ধনীদের সারচার্জের সীমা বাড়িয়ে ধনীদের রিলিফ আয় গরিবদের ওপর অত্যাচার করা হলো।
আরো সংবাদ

আরও খবর

Sponsered content

Powered by