আন্তর্জাতিক

আফগানিস্তানের সঙ্গে সীমান্ত খুলে দিতে প্রতিবেশি দেশগুলোকে আহ্বান জাতিসংঘের

  প্রতিনিধি ২০ আগস্ট ২০২১ , ১০:০৪:৪৪ প্রিন্ট সংস্করণ

An Afghan family arrives at the Pakistan-Afghanistan border crossing point in Chaman on August 20, 2021, to return back to Afghanistan. (Photo by - / AFP)

আফগানিস্তান থেকে লোকজনকে পশ্চিমা দেশগুলোতে আশ্রয় দেয়াকে স্বাগত জানিয়েছে জাতিসংঘ। সেইসঙ্গে প্রতিবেশি দেশগুলোর প্রতি সীমান্ত খুলে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব সংস্থাটি। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনের (ইউএনএইচসিআর) মুখপাত্র সাবিয়া মান্টো এ আহ্বান জানান।

 

অন্তত ৩ হাজার আফগানকে শুক্রবার কাবুল থেকে সরিয়ে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ নিয়ে গত রোববার থেকে ৯ হাজার আফগানের পুনর্বাসন করেছে দেশটি। এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে ইউএনএইচসিআর।

সংস্থাটির মুখপাত্র সাবিয়া মান্টো শুক্রবার জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘নিয়মিত প্রক্রিয়ায় (মার্কিন সামরিক বিমানে) অধিকাংশ আফগানরাই দেশ ছাড়ার সামর্থ্য রাখেন না।’ তিনি জানান, যারা সেখানে বিপদে রয়েছেন, তারা কিভাবে বিপদ থেকে বের হবেন, সেই পথ পরিষ্কার নয়।

এ পরিস্থিতিতে তিনি আফগানিস্তানের প্রতিবেশি দেশগুলোকে সীমান্ত খুলে দেয়ার আহ্বান জানান, যাতে আফগান শরণার্থীরা আশ্রয় নিতে পারে।

ইতোমধ্যে জাতিসংঘ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যে, যারা যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো বাহিনীর সঙ্গে কাজ করেছে, তালেবান যোদ্ধারা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে তাদের খোঁজ নিচ্ছে।

জানা যায়, আফগানিস্তানের সঙ্গে সীমান্তের দু’টি প্রধান স্থলবন্দর খুলে দিয়েছে পাকিস্তান। এতে বিপুল সংখ্যক আফগান দেশটিতে আশ্রয় নিয়েছেন। তবে ইরান তাদের সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত আশরাফ গানি সরকারকে হটিয়ে গত রোববার কাবুলে ক্ষমতা গ্রহণ করে তালেবান। পরদিন থেকে কাবুল বিমানবন্দরে নজিরবিহীন ভীড় দেখা দেয়। আফগানরা দেশ ছেড়ে পালাতে মরিয়া হয়ে উঠেন। অনেকে বিমানের চাকার খাঁজে প্রবেশ করে দেশ ছাড়ার চেষ্টা করেন। এভাবে অন্তত দু’জনের মৃত্যু হয়।

তালেবানরা অবশ্য দেশ না ছাড়তে আফগানদের অনুরোধ করছে। ইতোমধ্যে সরকারি চাকরিজীবীদের কাজে যোগ দিতে বলেছে তারা। কিন্তু এতেও আতঙ্ক কাটছে না সাধারণ মানুষের মন থেকে।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানায়, তালেবানরা শুক্রবার প্রথমবারের মতো জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছে। সেইসঙ্গে লোকজন যাতে দেশ ছেড়ে না পালান, সেজন্য নামাজের খুতবায় আহ্বান জানাতে মসজিদের ইমামদেরও নির্দেশনা দিয়েছে।

তবে তালেবানরা জানিয়েছে, তাদের শাসনে আফগানিস্তান কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হবে না। এটা ইসলামি শরিয়া আইনে চলবে। নারীর অধিকারও দেয়া হবে শরিয়ার ভিত্তিতে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by