দেশজুড়ে

আমেরিকা দূতাবাসের প্রতিনিধির নোবিপ্রবির গবেষণা কার্যক্রম পরিদর্শন

  প্রতিনিধি ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ , ৮:১৭:৩৮ প্রিন্ট সংস্করণ

আমেরিকা দূতাবাসের প্রতিনিধির নোবিপ্রবির গবেষণা কার্যক্রম পরিদর্শন

বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্স ও ইউএসডি’র অর্থায়নে পরিচালিত গবেষণা কার্যক্রম পরিদর্শন করেন ঢাকায় নিযুক্ত আমেরিকান দূতাবাসের অ্যাগ্রিকালচার এ্যাটাচি সারাহ গিলেস্কি।

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ফিশারিজ এন্ড মেরিন সায়েন্স বিভাগে আগমন করলে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন। পরে সারাহ গিলেস্কি গবেষণা অগ্রগতি সংক্রান্ত সভায় যোগদান করেন।

সভায় মৎস্য চাষ নিবিড়করনে যান্ত্রিকরণের উপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্পের প্রধান গবেষক অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ -আল মামুন। তিনি বলেন, মৎস্য চাষে এ্যারেশন ব্যবহার করে মাছ উৎপাদন দেড়গুন বৃদ্ধি করা সম্ভব। এ্যারেশনের ধরণ, সময় ও মাছের প্রজাতি নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ । তিন বছর মেয়াদি এই গবেষণা সম্পন্ন হলে চাষী পর্যায়ে সুফল পৌঁছানো সম্ভব হবে। এতে কম জমিতে বেশী পরিমান মাছ উৎপাদন করা সম্ভব হবে। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল আলম।

সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো আব্দুল বাকী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান, রেজিস্ট্রার জসিম উদ্দিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. আনিসুজ্জামান রিমন , আইকিউএসির পরিচালক ড. ফিরোজ আহমেদ, লাইব্রেরিয়ান শাখায়েত হোসেন, ডিপিডি জামাল হোসেন, বিভাগের শিক্ষকরাসহ গবেষণা প্রকল্পের গবেষকবৃন্দ ও শিক্ষার্থীরা। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল আলম গবেষণা কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

তিনি বলেন, দেশের প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণে অল্প জমিতে অধিক মাছ উৎপাদনে এই গবেষণা অত্যন্ত সহায়ক হবে। নোবিপ্রবি গবেষণাবান্ধব প্রতিষ্ঠান এবং গবেষণায় দল মতের ঊর্ধ্বে সকল সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। সারাহ গিলেস্কি বলেন, নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে নোবিপ্রবির গবেষণা সত্যিই ইতিবাচক ।ভৌগিলিকভাবে নোবিপ্রবি অত্যন্ত সুবিধাজনক স্থানে অবস্থিত যেখানে জলবায়ু পরিবর্তন, খাদ্য নিরাপত্তা, জনস্বাস্থ্য নিয়ে গবেষণার অবারিত সুযোগ রয়েছে।

আমেরিকান জনগণ বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে কাজ করতে আগ্রহী। প্রতিনিধিদল ল্যাবসমূহ এবং গবেষণা পুকুর ঘুরে দেখেন।পরে উপাচার্য অতিথিদের এবং সারাহ গিলেস্কি কে সাথে নিয়ে অ্যাকুয়া-ফিল্ড রিসার্চ ফ্যসিলিটিজ উদ্বোধন করেন। নামফলক উন্মোচন শেষে মসজিদের খতিব দোয়া পরিচালনা করেন।

উল্লেখ্য ১২ টি গবেষণাপুকুর, দুইটি মাঠ গবেষণাগার নিয়ে অ্যাকুয়া-ফিল্ড রিসার্চ ফ্যসিলিটিজ প্রধান গবেষক অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ-আল মামুনের তত্ত্বাবধানে গড়ে উঠেছে। অ্যাকুয়া-ফিল্ড রিসার্চ ফ্যসিলিটিজ গবেষক, ছাত্র-ছাত্রী সকলের গবেষণায় সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। পরে সারাহ গিলেস্কি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি পরিদর্শন করেন ও ছাত্র ছাত্রীদের সাথে মতবিনিময় করেন।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by