Uncategorized

আম উৎপাদনে নওগাঁ শীর্ষে

  প্রতিনিধি ২২ মে ২০২১ , ৬:৫৫:০৪ প্রিন্ট সংস্করণ

শফিক ছোটন, নওগাঁ :

চমক লাগানো আম উৎপাদন হচ্ছে নওগাঁ জেলায়। ধীরে-ধীরে আমের রাজধানী হয়ে উঠেছে। কমবেশী সারাবছর ‘কাটিমন’ জাতের আম উৎপাদন হচ্ছে। ধানের পাশাপাশি এখন পুরো নওগাঁ জুড়ে আম, বড়ই, মাল্টা, পেয়ারা ও ড্রাগন উৎপদনে এগিয়ে আছে। স্বাদে তুলনাহীন।

তাই ক্রমেই দেশ জুড়ে নওগাঁ জেলার আমের চাহিদা বেশী। বিশেষ করে আমরুপালীর দিকে তাকিয়ে থাকেন ক্রেতা ও ভোজন রসিক বাঙগালী। কয়েক বছর ধরে বিদেশে রপ্তানী হচ্ছে এই আম।

এছাড়া কাটিমন, বারি-ফোর, গৌড়মতি, ব্যানানা গুটি, গোপালভোগ, রানী পছন্দ, খিরসাপাত, হিমসাগর, ল্যাংড়া, নাগ ফজলি, ফজলি, আশ্বিনা ও ঝিনুক জাতের আম উৎপাদন হয়েছে। ‘নাগ ফজলি’ নওগাঁর নিজস্ব আম। এর চাহিদা ক্রমেই বাড়ছে। এই আম সবচেয়ে বেশী উৎপাদন হয় বদলগাছী ও ধামইরহাট উপজেলায়।

নওগাঁ জেলায় এ বছর আম উৎপাদন হচ্ছে ২৫ হাজার হেক্টর জমিতে। গেল বছর ছিলো ২৪ হাজার ৭শ ৭৫ হেক্টর। মাত্র এক বছরে ১ হাজার ৭৫ হেক্টর জমিতে আমের নতুন বাগান সৃজিত হয়েছে। এসব তথ্য দিয়েছে কৃষি বিভাগ।

সরকারী ক্যালেন্ডার হিসেবে ২০ মে থেকে নওগাঁ জেলায় আম সংগ্রহ শুরু হয়েছে। তবে উদ্বেধনের আনুষ্ঠানিকতা রয়েছে ২৫ মে। জেলার সাপাহারে এই আনুষ্ঠানিকতার কথা রয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারন অধিপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ শামসুল ওয়াদুদ জানিয়েছেন, ‘চলতি মওসুমে আমের উৎপাদন ভাল হয়েছে।

দেশে আম উৎপাদনে শীর্ষে রয়েছে নওগাঁ জেলা। এবার প্রায় দুইশো কোটি টাকার আম উৎপাদন হবে আশা প্রকাশ করা হচ্ছে’ জানান তিনি। নওগাঁ জেলার ১১ টি উপজেলা।

এরমধ্যে নওগাঁ সদরে ৪৪০ হেক্টর, রানীনগরে ৩৫ হেক্টর, আত্রাইয়ে ১২০ হেক্টর, বদলগাছিতে ৩৩৫ হেক্টর, মহাদেবপুরে ৬২৫ রহেক্টর, পতœীতলায় ৩ হাজার ১৫ হেক্টর, ধামইরহাটে ৬৭৫ হেক্টর, সাপাহারে ৮ হাজার ৫২৫ হেক্টর, পোরশায় ১০ হাজার ৫৫০ হেক্টর, মান্দায় ৪০০ হেক্টর এবং নিয়ামতপুর উপজেলায় ১ হাজার ১৩০ হেক্টর জমিতে আম বাগান রয়েছে।

এদিকে নওগাঁ জেলায় ২০ মে থেকে গুটি আম সংগ্রহ শুরু হয়েছে। ২৭ মে থেকে গোপালভোগ ও রানিপছন্দ, ২ জুন থেকে খিরসা পাত ও হিমসাগর, ৪ জুন থেকে নাগফজলী, ১০ জুন থেকে ল্যাংড়া, ২০ জুন থেকে ফজলী, ২২ জুন থেকে আমরুপালী, এবং ৮ জুলাই থেকে আশ্বিনা, বারী-৪ ও ঝিনুক জাতের আম সংগ্রহ শুরু হবে, জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।

নওগাঁর জেলা প্রশাসক মো. হারুন-অর-রশীদ জানান, ‘নওগাঁয় আম বেচা-কেনার সবচেয়ে বড় পাইকারী হাট সাপাহার ও পোরশার সড়াইগাছী। হাটগুলোতে মওসুম জুড়ে প্রতিদিন ভোর থেকে বেচা-কেনা শুরু হয়। চলে সারাদিন। দেশের প্রতিটি অঞ্চল থেকে পাইকার আসে হাটগুলোতে।’

তিনি আরো জানান, ‘ব্যাংক ও আর্থিক দেল-দেনকারী প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ, কৃষক ও জন প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলা হয়েছে। আম বিক্রি করে যাতে উৎপাদকরা নাজ্য দাম পান একইসাথে ব্যবাসায়ীদের যাতে কোন সমস্যায় পড়তে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে।’

 

আরও খবর

Sponsered content

Powered by