আন্তর্জাতিক

ইসরায়েলি হামলার যথাযথ জবাব দেওয়ার হুমকি হেজবুল্লাহর

  প্রতিনিধি ৮ আগস্ট ২০২১ , ৭:৩০:৩৮ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্কঃ

লেবাননভিত্তিক শিয়া ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল ও সশস্ত্র গোষ্ঠী হেজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ বলেছেন, ইসরায়েলি বিমান হামলার জবাব তার দল উন্মুক্ত ভূমিতে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু ভবিষ্যতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়তে পারে আশঙ্কায় সেই সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটেছে। তবে ভবিষ্যতে ইসরায়েলি যেকোনও হামলার যথাযথ এবং সমুচিত জবাব দেবে হেজবুল্লাহ।

এর আগে, শুক্রবার ইসরায়েলি বাহিনী লক্ষ্য করে লেবাননের এই রাজনৈতিক দল রকেট নিক্ষেপ করে। জবাবে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ করে ইসরায়েল। শনিবার হামলার কোনও খবর পাওয়া যায়নি এবং এখন পর্যন্ত কোনও হতাহতও ঘটেনি।

ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স বলছে, উভয় পক্ষেই উন্মুক্ত ভূমি লক্ষ্য করে হামলা-পাল্টা হামলা চালিয়েছে। এর মাধ্যমে কোনও পক্ষই যে উত্তেজনা আর বাড়াতে চায় না সেই ইঙ্গিত দিয়েছে।

২০০৬ সালের ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধের বার্ষিকী উপলক্ষ্যে চলতি সপ্তাহে নাসরুল্লাহ বলেন, ইসরায়েলি বিমান হামলা অত্যন্ত বিপজ্জনক; যা গত ১৫ বছরে দেখা যায়নি।

তিনি বলেন, হেজবুল্লাহ ইসরায়েলি যেকোনও হামলার জবাব যথাযথ এবং সমানুপাতিক উপায়ে দেবে। আমরা গতকাল একটি বার্তা দেওয়ার জন্য শেবা ফার্মস এলাকার উন্মুক্ত ভূমিকে বেছে নিয়েছিলাম। আমরা দেখাতে চেয়েছিলাম যে, পরবর্তীতে উত্তেজনা আরও একধাপ বাড়তে পারে।

হাসান নাসরুল্লাহ বলেছেন, হেজবুল্লাহর হাতে ‘উত্তরাঞ্চলীয় অধিকৃত ফিলিস্তিন’, গ্যালিলি বা গোলান মালভূমির যেকোনও উন্মুক্ত ভূমিতে প্রতিক্রিয়া দেখানোর বিকল্প হিসেবে আছে।

গত বুধবার লেবাননের সীমান্ত এলাকার কাছে ইসরায়েলের কিরিয়াত শমোনো শহর সংলগ্ন এলাকায় রকেট হামলা হয়। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে লেবানন থেকে ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে তিনটি রকেট ছোড়া হয়েছে বলে জানায়। এর মধ্যে একটি ইসরায়েলি সীমান্তের কাছে আছড়ে পড়ে এবং অন্য দু’টি ইসরায়েলের ভেতরে আঘাত হানে।

বুধবারের হামলার দায় কেউ দায় স্বীকার না করলেও লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলের যে এলাকাগুলো থেকে ইসরায়েলে রকেট হামলা চালানো হয়েছিল সেসব এলাকা ইরান সমর্থিত হেজবুল্লাহ গেরিলাদের নিয়ন্ত্রণাধীন। তবে ওই রকেট হামলায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। হামলার ব্যাপারে হেজবুল্লাহ কোনও মন্তব্য না করলেও ইসরায়েল জবাবে লেবাননে গোলাবারুদ নিক্ষেপ ও বিমান হামলা চালায়।

গত সপ্তাহে ওমান উপসাগরে ইসরায়েলি একটি তেল ট্যাংকারে হামলায় দুই ক্রু নিহত হওয়ার পর ওই অঞ্চলে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। ইসরায়েলের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য ট্যাংকারে হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করলেও তেহরান তা অস্বীকার করেছে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by