প্রতিনিধি ২৯ ডিসেম্বর ২০২০ , ৩:৩৫:২২ প্রিন্ট সংস্করণ
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানায়, সরকারি রিপোর্ট অনুসারে ১৪টি মামলার মধ্যে ১৩টি মামলাই হিন্দু মেয়েদের সংক্রান্ত। এই মামলাগুলিতে হিন্দু মেয়েদের জোর করে মুসলিমে রূপান্তরিত করার চেষ্টা হয়েছিল বলে অভিযোগ করা হয়েছে। ১৪টি মামলার মধ্যে নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে দায়ের হয়েছে মাত্র ২টি মামলা। বাকি মামলাগুলি দায়ের হয়েছে আত্মীয় স্বজনের অভিযোগের ভিত্তিতে।
অন্যদিকে এই মামলাগুলির মধ্যে ৮টি ক্ষেত্রে বিবাহিতরা ধর্মান্তরণের অভিযোগ মানেননি। তারা নিজেদেরকে বন্ধু বলেছেন। তারা জানিয়েছেন, তাদের মধ্যে ‘স্বেচ্ছায় সম্পর্ক’ রয়েছে।
যোগী সরকারের আনা এই আইন ২৭ নভেম্বর মঞ্জুর করেন উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেল। ২৮ নভেম্বর থেকে তা যোগী রাজ্যে চালু হয়। এই আইনে প্রথম মামলাটি দায়ের হয়েছিল উত্তর প্রদেশের বরেলিতে। একটি মেয়ের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে।
এদিকে এই আইন চালু করা নিয়ে ভারতবর্ষ জুড়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন জানিয়েছেন, ‘লাভ’ বা প্রেমের মধ্যে কোনও ‘জিহাদ’ নেই। এই আইনের ফলে মানবাধিকার লঙ্খন করা হচ্ছে।