রংপুর

উলিপুরে পতিত জমিতে আদার বাম্পার ফলন 

  প্রতিনিধি ১৪ অক্টোবর ২০২৩ , ৩:২৭:১৩ প্রিন্ট সংস্করণ

উলিপুরে পতিত জমিতে আদার বাম্পার ফলন 

কুড়িগ্রামের উলিপুরে পতিত জমিতে আদার বাম্পার ফলন হয়েছে। আদা চাষে সাফল্য দেখছেন আদা চাষি। খাদ্যের স্বাদ বৃদ্ধিকরা জনপ্রিয় এক মশলাজাতীয় ফসল হলো আদা। ভেষজ গুণে ভরপুর আদা কাঁচা ও শুকনো দু’ভাবেই ব্যবহার করা যায়। তাই সারা বছর ক্রেতাদের কাছে এর চাহিদা থাকে তুঙ্গে। চাহিদার কথা মাথায় রেখে পতিত জমিতে আদা চাষ করেছেন চাষিরা। বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক দেখা যায়। 

উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, উপজেলায় গত বছর আদা চাষের লক্ষ্য মাত্রা ছিল প্রায় ৬’শ ৯৫ হেক্টর। যা অর্জিত হয়েছে।

কৃষি অফিস থেকে আদা চাষিদের বিভিন্ন ধরনের রোগবালাই পোকামাকড় নিধন সম্পর্কে  পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। 

সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, পতিত জমিতে আদা চাষ করেছেন কৃষকেরা। আদার বাম্পার ফলন হওয়ায় হাসির ঝিলিক দেখা যায়। আদার পরিচর্যায় ব্যাস্ত কৃষকেরা। আদা চাষে তেমন খরচ না থাকায় ও বাজারে চাহিদা ও দাম ভালো থাকায় দিনে দিনে আদা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন চাষিরা। তারা জানান, উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে পতিত জমিতে করছেন আদা চাষ। পাচ্ছেন সফলতাও। আদা চাষে মাঝে মাঝে পরিচর্যা আর বেশি রোদ হলে একটু পানি দেয়া ছাড়া আর তেমন কোন কাজ নেই। আদায় তেমন রোগ বালাই নেই তাই আদা চাষে দ্বিগুণ আয় করা যায় বলে জানান তারা। 

পৌরসভার নাড়িকেলবাড়ি বকুলতলা বাজার এলাকার রতন কুমার মজুমদার বলেন, ৬০ শতক পতিত জমিতে আদা চাষ করেছেন। এ সব জমি এক সময় ধান শুকনোর চাতাল ছিল। মিল চাতালের ব্যাবসায় উন্নয়ন না হওয়ায় এখন আদার চাষ করেছি। ৬০ শতক জমিতে আদার বীজ লাগিয়েছি ১’ শ ২০ কেজি। যার মূল্য ছিল ২৬ হাজার ৪’শ টাকা। আদার বাম্পার ফলন হয়েছে। এ পর্যন্ত খরচ হয়েছে প্রায় ৬০ হাজার টাকা। শতক প্রতি এক মণ করে আদা ফলনের আশা করছেন। তাতে প্রায় ৬০ মণ আদার আশা করছেন। ২’শ ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রয় হলেও প্রতি মণ বিক্রি হবে ১০ হাজার টাকা। ৬০ মণ আদার মূল্য হয় প্রায় ৬ লক্ষ টাকা। যা খরচের দ্বিগুণ লাভ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি আরও বলেন, আগামীতে ১’শ শতক জমিতে আদার চাষ করার আশা করছেন। 

এছাড়াও উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের হারুনেফড়া গ্রামের আদা চাষি আমজাদ মিয়া এবং অন্যান্য এলাকার আবু তালেব ও শান্তিরাম বর্মন সহ আরও অনেকে একই কথা জানান।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, আদা চাষি মজুমদার উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে আদার চাষ করেছেন। বিভিন্ন ধরনের রোগবালাই সম্পর্কে পরামর্শ দেয়ায় আদার বাম্পার ফলন হয়েছে। আশা করছি অনেক লাভবান হবেন। 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষিবিদ মোশারফ হোসেন বলেন, আদা চাষে দ্বিগুণ লাভ করা যায়। আদা লাগানোর পর সঠিক পরিচর্যা পেলে কৃষক প্রচুর লাভবান হবে। আমারা প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে যে সকল প্রশিক্ষণ দিচ্ছি যা কৃষকরা প্রয়োগ করলে এ অঞ্চলের অর্থনীতিতে বেশ ভালো প্রভাব পড়বে বলে আশা করা যায়।

এছাড়াও কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে আধুনিক পদ্ধতিতে আদা চাষে চাষিদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

Powered by