প্রতিনিধি ২১ এপ্রিল ২০২৪ , ৭:৩৭:৩৯ প্রিন্ট সংস্করণ
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর পৌর মেয়র গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাটের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবি, ভাঙচুর ও হুমকি ধমকের অভিযোগ এনে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন মুক্তিযোদ্ধা মঞ্জুরুল আলম। তিনি রায়পুর শহরে নির্মাণাধীন একতা টাওয়ারের মালিক ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক সহকারী কমান্ডার এবং রায়পুর উপজেলার কেরোয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ কেরোয়া গ্রামের বাসিন্দা।
রবিবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রায়পুর আদালতে বীর মুক্তিযোদ্ধা মঞ্জুরুল আলম মামলাটি দায়ের করেন।মামলায় পৌর মেয়র গিয়াস উদ্দির রুবেল ভাট সহ ছয়জনকে আসামি করা হয়। অন্যরা হলেন রায়পুর পৌরসভার বাসিন্দা মহিউদ্দিন বিপ্লব, আলম মিয়া, মো. সবুজ, মাহমুদুন্নবী ও লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার আটিয়াতলীর গ্রামের বাসিন্দা আবু তাহের সাগর।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে রায়পুর থানাকে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট নিজাম উদ্দিন। তিনি বলেন, মামলা নং সি আর ৩১৪/২০২৪ এবং বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৪৪৭, ৩৮৫, ৪২৭, ৫৯৬(২) ধারায় আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে রায়পুর থানার ওসিকে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
বাদী তার মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, তিনি আর্কিটেক ইঞ্জিনিয়ার দ্বারা ডিজাইন তৈরি করে এবং রায়পুর পৌরসভা থেকে যথাযথ অনুমোদন নিয়ে রায়পুর শহরে মেইন রোডের পার্শ্বে নিজস্ব ভূমিতে একতা টাওয়ার নামে একটি বহুতল ভবন নির্মাণ করে আসছেন। বর্তমানে উক্ত ভবনের ছয় তলার ছাদের নির্মাণ কাজ চলছে। কিছুদিন থেকে পৌর মেয়রের নেতৃত্বে বিবাদীরা তার নিকট ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছে। চাঁদা না দিলে তারা তাকে ভবন নির্মাণ করতে দিবেনা বলে হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে।
তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় গত ৪ মার্চ মেয়রের নেতৃত্বে সকল বিবাদীরা নির্মাণাধীন টাওয়ারের স্থলে এসে বাদীকে খুঁজতে থাকে এবং দশ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে না পেয়ে সীমানা প্রাচীর সহ বিভিন্ন মালামাল ভাঙচুর করে এক লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করে। বাদী এ ঘটনার বিভিন্ন মহলে অবহিত করলে তারা তাকে স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে মামলা দায়ের করা থেকে বিরত রাখে।
পরবর্তীতে তিনি ওমরা করার জন্য মক্কা শরীফ চলে যান। ফিরে আসার পরও এ ব্যাপারে কোন সুরাহা না হওয়ায় তিনি রবিবার আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রায়পুর পৌর মেয়র গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাট বলেন, তিনি এ মামলার বিষয়ে কিছুই জানেন না। আদালতে দোষী প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত তাকে অপরাধী বলা যাবেনা।