আন্তর্জাতিক

গাজায় নিষিদ্ধ ফসফরাস বোমা ফেলছে ইসরাইল

  প্রতিনিধি ১২ অক্টোবর ২০২৩ , ৪:১৬:৩১ প্রিন্ট সংস্করণ

গাজায় নিষিদ্ধ ফসফরাস বোমা ফেলছে ইসরাইল
গাজায় নিষিদ্ধ ফসফরাস বোমা ফেলছে ইসরাইল। ছবি: সংগৃহীত

আচমকা ঘরের ভেতরে ঢুকে হামাসের আক্রমণের পরই শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নেমেছে ইসরাইল। একের পর এক হামলায় গুঁড়িয়ে দিচ্ছে গাজা। হামাস নিধনের নামে ২৩ লাখ বাসিন্দার ঘনবসতিপূর্ণ বসতিতে এখন নিষদ্ধি সাদা ফসফরাস বোমা ফেলছে।

মুখে বলছে, হামাস বাহিনীকে নিশ্চিহ্ন করতে এ বোমা ব্যবহার করা হচ্ছে। বুধবার আল জাজিরায় প্রকাশিত একটি ভিডিওতে ইসরাইলের ফসফরাস বোমার ব্যবহার চিনি্তত করছে বিশেষজ্ঞদেরও।

সাদা ফসফরাস হলো একটি মোমযুক্ত স্ফটিক। আলোর সংস্পর্শে এলেই অন্ধকার হয়ে যায়। বিষাক্ত পদার্থটি তখন সাদা থেকে হলুদ স্বচ্ছ বর্ণ ধারণ করে। রসুনের মতো তীব্র গন্ধ। অক্সিজেনের সংস্পর্শে এলেই মুহূর্তে আগুন ধরে যায় বাতাসে। জনপদ বিধ্বংসী এই বোমার ধ্বংস ক্ষমতার প্রতাপেই  সামরিক বাহিনী এটিকে বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ হিসাবে ব্যবহার করে।

পদার্থটিকে সেনাবাহিনীরা ধোঁয়া এজেন্ট হিসাবে ব্যবহার করে। কেননা এটি বিরক্তিকর সাদা ধোঁয়ার মেঘ তৈরি করে।

পাশাপাশি সাদা ফসফরাস মাটিতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। বেশ কয়েকটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে একবার জ্বলে উঠলে এটি নিভিয়ে ফেলা অত্যন্ত কঠিন। নিষদ্ধি সাদা ফসফরাস প্রাকৃতিকভাবে ঘটে না, কারণ এটি ফসফেট শিলা ব্যবহার করে তৈরি করা হয়।

ফলে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, সাদা ফসফরাস বেশি জনবসতিপূর্ণ বেসামরিক এলাকায় ব্যবহার নিষদ্ধি। বেসামরিক এলাকায় এটির ব্যবহার যুদ্ধাপরাধ হিসাবে বিবেচিত হয়। তবে এবারই প্রথম নয়, এর আগেও ফসফরাস বোমা ব্যবহার করেছে ইসরাইল।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ২০০৮ সালের ২৭ ডিসেম্বর থেকে ২০০৯ সালের ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত ইসরাইল তাদের ২২ দিনের সামরিক অভিযানে গাজায় ব্যাপক সাদা ফসফরাস অস্ত্র ব্যবহার করেছে। এদিকে ইসরাইল-হামাস সংঘর্ষকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে জাতিসংঘ। চলমান তদন্ত বলেছে ইতোমধ্যেই স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে যে যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হতে পারে।’

বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে জাতিসংঘের তদন্ত কমিশন বলেছে, যারা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে এবং বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করেছে তাদের অপরাধের জন্য অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে।’

আরও খবর

Sponsered content

Powered by