ঢাকা

গোপালগঞ্জে নির্মাণ আইন ও পৌরসভা কর্তৃক অনুমোদিত নক্সা বহির্ভূত পাকা ইমারত নির্মাণের অভিযোগ

  প্রতিনিধি ৭ নভেম্বর ২০২০ , ৪:০৯:৫৩ প্রিন্ট সংস্করণ

গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:

গোপালগঞ্জে ভোলানাথ পান্ডে নামে এক বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে ইমারত (ভবন) নির্মাণ আইন ও পৌরসভা কর্তৃক অনুমোদিত নকশা বহির্ভূত ইমারত নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে গোপালগঞ্জ পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড, হোল্ডিং নং-৪৬৯/১, ফায়ার সার্ভিস বাইলেন বেদগ্রাম, এলাকার পার্শ্ববর্তী বাড়ির মালিক নিত্যানন্দ বিশ্বাস গোপালগঞ্জ পৌরসভায় গত ২৮/১০/২০২০ ইং তারিখে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নিত্যানন্দ বিশ্বাস, অভিযুক্ত ভোলানাথ পান্ডে সহ আরো দুইজন গত ২০১২ সালে বেদগ্রাম মৌজায়, ১৫৮৯ নং খতিয়ানে বিআরএস ৫৬১, এসএ ৯৮৮ নং দাগে প্রতি জন ৩ শতাংশ করে ৪ জন মোট ১২ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। পরবর্তীতে, বদলি জনিত কারণে নিত্যানন্দের দীর্ঘদিনের অনুপস্থিতিতে তার বাড়ির ভাড়াটে (ভোলানাথ পান্ডে) ২০১৩ সালে ইমারত (ভবন) নির্মাণ আইন লংঘন ও পৌরসভা কর্তৃক অনুমোদিত নক্সা বহির্ভূত ইমারত নির্মাণ করেছেন।

যদিওবা পৌর এলাকায় ভবন নির্মাণ করতে হলে অবশ্যই প্রকল্প সাইটের সামনে, পশ্চাতে ও উভয় পাশে বিধি মোতাবেক উন্মুক্ত স্থান রেখে ইমারত (ভবন) নির্মাণ করতে হয়। কিন্তু ভোলানাথ পান্ডে ৪৬৯/২ নং হোল্ডিং এ দেশের প্রচলিত আইন ও পৌর নীতিমালার তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে পাকা ইমারত নির্মাণ করেছেন।

পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে তিনি এর সুষ্ঠু প্রতিকার চেয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিতের পর ভবনের মালিক ভোলানাথ পান্ডেকে পৌর নীতিমালা না মেনে দ্বিতল বিশিষ্ট পাকা ভবন নির্মাণের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, আমরা প্রত্যেকে ৩ শতাংশ করে চারজন মোট ১২ শতাংশ জমি আট বছর আগে ক্রয় করি।

প্রায় ৭ বছর আগে আমি ভবনটি নির্মাণ করেছি, তখন কেউ বাধা দেয়নি, যেহেতু স্বল্প জায়গা, তাছাড়া পার্শ্ববর্তী কেউই সীমানা ছাড়েনি বিধায় আমিও ছাড়িনি। এখন এতদিন পরে এ প্রশ্ন উঠছে কেন, বুঝতে পারছিনা।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by