বাংলাদেশ

গ্রাহকদের ২৫০ কোটি টাকার পণ্য আটকে রেখেছে কিউকম

  প্রতিনিধি ৪ অক্টোবর ২০২১ , ৬:২৬:২৫ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক:
whatsapp sharing button
কিউকম কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রিপন মিয়া

ই-কমার্স ব্যবসার নামে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে কিউকম কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রিপন মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা মতিঝিল বিভাগ। ডিবি পুলিশ জানায়, প্রতারণা করে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান কিউকম গ্রাহকদের ২৫০ কোটি টাকা আটকে রেখেছে। এক ভুক্তভোগীর দায়ের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল রোববার তাকে ডিবি মতিঝিল বিভাগ গ্রেপ্তার করেছে। তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তার প্রতিষ্ঠানে গ্রাহকদের প্রায় ২৫০ কোটি টাকার পণ্য আটকে রাখা হয়েছে।

আজ সোমবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার।

ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, করোনাকালীন সময় অনলাইন ভিত্তিক ই-কমার্স ব্যবসার দ্রুত প্রসার ঘটায় কিউকম অনলাইনে তাদের ব্যবসা শুরু করে। অনেক ক্রেতা কিউকমে মালামাল অর্ডার করে পণ্য না পাওয়ায় প্রতারিত হয়েছে। এক ভুক্তভোগী কিউকমে মালামাল অর্ডার করে পণ্য না পাওয়ায় তার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ৪ অক্টোবর, ২০২১ পল্টন থানায় একটি মামলা রুজু হয়। গোয়েন্দা মতিঝিল বিভাগ অত্র মামলার তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে।

তিনি আরও বলেন, কিউকম প্রায় লক্ষাধিক পণ্য অনলাইনে বিক্রি করে। ক্রেতাকে আকৃষ্ট করার জন্য কিউকম ‘বিজয় আওয়ার’ ‘স্বাধীনতা আওয়ার’ ‘বিগ বিলিয়ন’ নামে ২ থেকে ১৫ দিন সময় দিয়ে অনেক কম দামে মোটরসাইকেল অফার করতো। ১ লাখ ৬৭ হাজার টাকার মোটরসাইকেল ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় পাওয়ার অফার পেয়ে ক্রেতারা নগদ টাকা পরিশোধের মাধ্যমে মোটরসাইকেল অর্ডার করতো।

কিন্তু সময়মত কিউকম পণ্য সরবরাহ না করায় সকল ক্রেতা হতাশ হয়ে কিউকমে যোগাযোগ করে। কিউকম লাভে টাকা ফেরত নেওয়ার অফার করলে ক্রেতারা লোভে পড়ে লাভের অংশ হতে ১০%-২০% কমে কিউকম হতে টাকার চেক গ্রহণ করে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক গত জুন মাসে Escrow System চালু করায় ক্রেতার টাকা বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অনুমোদিত Payment Gateway এর মাধ্যমে চলে যায়। কিউকম এর Payment Gateway ছিলো Foster। কিউকমে ক্রেতা পণ্য অর্ডার করলে ক্রেতার পেমেন্ট চলে যায় Foster এর নিকট। কিউকম ক্রেতার কাছে পণ্য পৌঁছে দিয়ে চালানসহ ডকুমেন্ট Foster এ জমা প্রদান করে। Foster পক্ষ হতে ক্রেতাকে ফোন করার মাধ্যমে পণ্য বুঝিয়ে পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর কিউকমকে টাকা প্রদান করে। ক্রেতা পণ্য বুঝে না পেলে Foster কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ ব্যাংকের Proof of Delivery এর নির্দেশনা মোতাবেক Foster কিউকমের টাকা আটকে দেয়। যার ফলে ক্রেতা পণ্য কিংবা টাকা কোনোটি পায় না।

ডিবির এই কর্মকর্তা বলেন, কিউকম মোটরসাইকেল ছাড় দেওয়ার কারণ তার Brand Merketing করা। যেহেতু মোটরসাইকেল এর চাহিদা অনেক বেশি এবং বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার দ্রুত উন্নয়ন হচ্ছে তাই এই পণ্য তারা ছাড় দেয় বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by