চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্‌যাপন

  প্রতিনিধি ২৭ মার্চ ২০২৪ , ৬:৫৫:৩৫ প্রিন্ট সংস্করণ

চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্‌যাপন

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে যথাযোগ্য মর্যাদায় ২৬শে মার্চ, ২০২৪ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্‌যাপন করেছে। দিবসের শুরুতে সকাল সাড়ে ৯টায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল বন্দর রিপাবলিক ক্লাব প্রাঙ্গনস্থ শহীদ স্মৃতিসৌধে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, অভিবাদন গ্রহণ ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

এসময় চবক এর সকল সদস্য, বিভাগীয় প্রধানসহ সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্মচারী পরিষদের নেতৃবৃন্দ, অবসরপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তা/কর্মচারী ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন । সকাল সাড়ে ১০টায় শহীদ ফজলুর রহমান মুন্সী অডিটোরিয়ামে ২৫ মার্চ গণহত্যায় নিহতদের স্মরণে এবং ‘‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন’’ বিষয়ে আলোচনা সভা, ছাত্রছাত্রীদের অংশগ্রহণে বিশেষ অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বন্দর চেয়ারম্যান শুরুতে গভীর গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যার অকুতোভয় ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। তিনি ১৯৭১ সালে শহিদ সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগের কথাও স্মরণ করেন। তিনি বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের সম্মানের পাত্র, যতদিন মুক্তিযোদ্ধারা বেঁচে থাকবেন ততদিন আমরা তাঁদের সম্মান করব।

আজকে বাংলাদেশ সারা বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল, যার কাণ্ডারি বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা। আমরা সকলে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে দেশকে ভালোবেসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে এ দেশের উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যাব এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে অবদান রাখব। চট্টগ্রাম বন্দর দেশের উন্নয়নে সবসময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আমি বিশ্বাস করি। তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধে চট্টগ্রাম বন্দরের শহিদ কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকদের সাহসিকতা ও আত্মত্যাগের কথা উল্লেখ করেন এবং এজন্য চট্টগ্রাম বন্দর স্বাধীনতা পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য বলে তিনি মন্তব্য করেন।

দিবসটি উপলক্ষ্যে চবক এর আওতাধীন সকল মসজিদ, এবাদতখানা, মন্দির ও বৌদ্ধ বিহারে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্য, শহিদ মুক্তিযোদ্ধা ও সোয়াত অপারেশনে শহিদ সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও প্রার্থনার আয়োজন করা হয় এবং বন্দর হাসপাতালে অভ্যন্তরীণ রোগীদের উন্নতমানের খাদ্য পরিবেশন করা হয়।

এ দিনে বন্দরের জেটিতে অবস্থানরত জাহাজের ক্যাপ্টেনদের শুভেচ্ছা স্মারক হিসেবে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by