দেশজুড়ে

চৌগাছায় দু’টি প্রতিষ্ঠানে শতভাগ একটিতে পাস করেনি কেউ

  প্রতিনিধি ১ জুন ২০২০ , ৫:২৫:০৭ প্রিন্ট সংস্করণ

চৌগাছা প্রতিনিধি : যশোরের চৌগাছায় ৬৭ টি স্কুল মাদ্রাসা থেকে এসএসসি সমমান পরীক্ষায়  অংশ গ্রহন করে। এর মধ্যে দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে শতভাগ পরীক্ষার্থী পাস করেছে। এবং একটি প্রতিষ্ঠানের সকল পরীক্ষার্থীই অকৃতকর্য হয়েছে।

উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, বছর উপজেলার ৪৪ টি স্কুল থেকে মোট হাজার ৫১ জন এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে হাজার ১০ জন। জিপিএ পেয়েছে ৪৯ জন। মাকাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৪৪ জন অংশ নিয়ে সকলেই পাস করেছে। এসএসসিতে উপজেলায় মোট পাসের হার ৮৫.০৫। উপজেলায় ২১ টি মাদ্রাসা থেকে ৮৯ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ৪৬ জন। জিপিএ পেয়ছে ০৯ জন। এর মধ্যে সিংহঝুলী দাখিল মাদ্রাসা থেকে ২৪ জন অংশ নিয় সকলেই কৃতকার্য হয়েছে। এবং মাকাপুর দাখিল মাদ্রাসা থেকে ২২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে সকলেই অকৃতকার্য হয়েছে। উপজেলায় মোট পাসের হার ৭৫.৭২।

শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠান দুটির প্রধানরা জানান, শিক্ষকশিক্ষার্থী, অভিভাবকের সাথে সমন্বয় করে পাঠদান করায় তারা শতভাগ সফলতা পেয়েছেন।

শতভাগ ফেল করা প্রতিষ্ঠানের সুপার তরিকুল ইসলাম বলেন, মাদ্রাসাটি ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।আমি ১৫ বছর দায়িত্ব পালন করছি। বিগত দশ বছরের গড় পাসের হার ৯৫ শতাংশেরও বেশি। বছরে ২২ জন পরীক্ষার্থীর একজনও পাস করবেনা বিষয়টি মেনে নিতে পারছিনা। আমার বিশ্বাস প্রযুক্তিগত কোনো ত্রুটির কারনে এমন বিপর্যয় হয়েছে। ফলাফল পূনঃবিবেচনার জন্য বাংলাদেশ মাদ্রাসা বোর্ডে আবেদন করব। তিনি আরো জানান, মাদ্রাসাটিতে প্রায় ছাত্রছাত্রী ১৭ জন শিক্ষক কর্মচারী রয়েছে। বিগত বছর গুলোতে কাম্য সংখ্যক পরীক্ষার্থী না থাকায় এম.পি. জন্য আবেদন করতে পারিনি। এবছর কাম্য সংখ্যক পরীক্ষার্থী ছিল। কিন্তু অনাকাঙ্খিত ফলাফল মেনে নিতে পারছিনা

প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি স্থানীয় ইউপি সদস্য ইমান উদ্দীন বলেন, ‘মাদ্রাসায় সাধারণত দূর্বল ছেলে মেয়েদের পড়তে দেওয়া হয়। তার পরেও এখানকার শিক্ষকরা চেষ্টা করেন। যে কারনে বিগত বছরগুলোতে ভালো ফলফলা অর্জন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। বছর কেন এমন হয়েছে বলতে পারছিনা

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবুল কালাম রফিকুজ্জামান বলেন, ‘যেহেতু এই মাদ্রাসার পূর্বের একদশকের ফলাফল খুবই ভালো। প্রযুক্তিগত কোনো ত্রুটি হয়েছে কিনা প্রতিষ্ঠান প্রধানকে বাংলাদেশ মাদ্রাসা বোর্ডে যোগাযোগ করতে বলা হয়ছে।  

আরও খবর

Sponsered content

Powered by