Uncategorized

চৌদ্দবুড়িয়ায় আদর্শ বালিকা মাদ্রাসা যেন অনিয়ম ও দুর্নীতির আকড়া

  প্রতিনিধি ২৬ জুলাই ২০২০ , ৭:৩৯:৫৩ প্রিন্ট সংস্করণ

চৌদ্দবুড়িয়ায় আদর্শ বালিকা মাদ্রাসা যেন অনিয়ম ও দুর্নীতির আকড়া

পটুয়াখালী প্রতিনিধি : পটুয়াখালীতে সদর উপজেলার ০৫ নং কমলাপুর ইউনিয়নে অবস্থিত চৌদ্দবুড়িয়া আদর্শ বালিকা দাখিল মাদরাসাটি যেন অনিয়ম ও দুর্নীতির আকড়ায় পরিণত হয়েছে। আর এর পেছনে যাদের নাম উঠে আসছে তারা হলেন, সুপার আঃ মোতালেব ও তার ছোট ভাই সভাপতি খলিলুর রহমান। তাদের দুই ভাইয়ের অনিয়ম ও দুর্ণীতির কারণে মাদরাসাটি প্রায় ধ্বংসের পথে। এ বিষয়ে এলাকাবাসীর বিভিন্ন অভিযোগ থাকলেও যেন তারা কিছু পরোয়া করে না। জনমনে প্রশ্ন তাদের খুটির জোর কোথায়? এলাকার জনগনের লিখিত ও মৌখিক সূত্রে জানা যায়, এই মাদ্রাসাটি ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এবং ১৯৯৪ সালে এমপিও ভুক্ত হয়। তবে মাদ্রাসার কোন প্রকার উন্নতি নেই। বিভিন্ন অনিয়ম ও সরকারি বেতন ভোগ করাই যেন এদের কাজ। আর মাদ্রাসার বিভিন্ন পদে সুপারের নিকট আত্মীয় ৭জন চাকুরীরত আছেন। মাদরাসায় শিশু শ্রেনী থেকে ৩য় শ্রেনী পর্যন্ত শ্রেনী কক্ষ ও ছাত্র-ছাত্রীর কোন অস্তিত্ব নেই। এভাবে অনিয়ম ও নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে মাদরাসা পরিচালনা করছে সুপার ও সভাপতি। সুপারের ছোট ভাই মাদরাসার সভাপতি এ এস এম খলিলুর রহমান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের একজন সক্রিয় কর্মী ও রোকন। ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ শেষ হলে খলিলুর রহমান নিয়ম বহির্ভূত ভাবে এডহক কমিটি করে পরবর্তীতে নিজে গোপনে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করে তার সভাপতি পদ বহাল রেখে আসছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাদাসাটির বেহাল অবস্থা। যেন আস্থাকুড়ে পরিনত হয়েছে। মাদ্রাসার আনুমানিক ৩ লক্ষ টাকার গাছ বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করেছে সুপার ও সভাপতি বলে এলাকাবাসী জানায়। তারা মদরাসার উন্নয়নের কথা বলে শিক্ষদের কাছ থেকে ১মাসের বেতন নিয়ে আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৪ জন শিক্ষকদের টাইম স্কেল পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে ১৫-২০ হাজার করে টাকা গ্রহণ করেছে। এছাড়া মাদ্রসায় বর্তমানে সৃষ্ট পদে একজন লাইব্রেরীয়ান ও পিয়ন প্রয়োজন। কিন্তু এলাকাবাসীর অভিযোগ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পূর্বেই তারা বিভিন্ন প্রার্থীর সাথে দরকষাকষি করছে এবং টাকাও গ্রহণ করেছে। যা মোবাইলে কথপোকনের রেকর্ড রয়েছে। এভাবে সুপার ও সভাপতি মাদ্রাসাটিকে একটি ব্যবসা হিসেবে পরিনত করেছে। এবিষয়ে সুপার আঃ মোতালেব এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমরা এখনো কোন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেই নাই। তবে কথাবার্তা প্রার্থীদের সাথে চলছে। কোন টাকা পয়সা নেই নাই। আর গাছ কেটে কিছু বিক্রি করেছি এবং কিছু গাছ পানিতে ভিজিয়ে রেখেছি। সভাপতি এ এস এম খলিলুর রহমানের সাথে মোবাইল ফোনে বক্তব্য নিতে গেলে, এ বিষয়ে তিনি কোন বক্তব্য দিতে রাজি হয় নাই।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by