বাংলাদেশ

ছিনতাই-চুরির মামলা না নিলে থানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা : ডিবি

  প্রতিনিধি ৯ এপ্রিল ২০২২ , ৮:৫৫:২২ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্কঃ

ছিনতাই, চুরি বা ডাকাতি হওয়ার পরও কোনো থানা মামলা নিচ্ছে না বা মামলা নিতে গড়িমসি করছে, তাহলে অভিযোগ করুন। ডিএমপি কমিশনারের স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে, এক্ষেত্রে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এবং সেটা আমরা নিচ্ছি।

আজ শনিবার (৯ এপ্রিল) ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন অ্যান্ড ডিবি-দক্ষিণ) মো. মাহবুব আলম ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন।

অভিযোগ রয়েছে রাস্তায় কেউ ছিনতাইয়ের শিকার হয়ে থানায় গেলে পুলিশ মামলা নিতে চায় না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এমন হয়ত হয়ে থাকে। কেউ কেউ মনে করেন কীভাবে মোবাইল চুরি হয়েছে তা জানে না। কারণ তিনি স্পষ্ট নন চুরি হয়েছে নাকি হারিয়ে গেছে। যখন তারা পুলিশের কাছে যায় তখন সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারেন না। তখন স্বাভাবিকভাবেই পুলিশ হয়ত চুরির মামলা না নিয়ে হারিয়ে যাওয়ার জিডি নেয়। ক্ষেত্র বিশেষে ছিনতাইয়ের পর মামলা রেকর্ড না হওয়ার প্রবণতা আছে। বিশেষ করে মোবাইলের ক্ষেত্রে। তবে পরে তদন্তে যদি এটা জানা যায় যে মোবাইলটা ছিনতাই হয়েছিল বা টানা পার্টির ঘটনা তখন মামলা হয়।

তিনি বলেন, যদি কোনো বিশেষ অভিযোগ পাওয়া যায় যে কোনো থানা মামলা নিচ্ছে না বা নিতে গড়িমসি করছে ডিএমপি কমিশনারের স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এবং সেটা আমরা নিচ্ছি।

মাহবুব আলম বলেন, সাধারণত রমজানের সময় ও যেকোনো উৎসব তথা ঈদের আগে ডাকাতি, দস্যুতা, চুরি ও অজ্ঞান পার্টি ও ছিনতাইকারী চক্র সক্রিয় হয়ে ওঠে। তাদেরকে প্রতিরোধে ডিএমপি কমিশনারের বিশেষ নির্দেশনা রয়েছে। নির্দেশনানুযায়ী তাদের দৌরাত্ম্য প্রতিরোধে বিশেষ অভিযানে নামে গোয়েন্দা বিভাগ।

তিনি বলেন, ডিবির রমনা ও লালবাগ বিভাগ গত বুধবার ও শুক্রবার লালবাগ, হাজারীবাগ ও নিউমার্কেট এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে এ চক্রের ২৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে মাহবুব আলম জানান, গ্রেফতারকৃতরা দলবদ্ধভাবে ঢাকা শহরের ব্যস্ততম বাসস্ট্যান্ড, অন্ধকার গলিতে অবস্থান করে যেকোনো ব্যক্তিকে টার্গেট করে। কখনো কখনো যাত্রীবেশে বাসে উঠে পড়ে। সুবিধামতো সময়ে টার্গেটকৃত ব্যক্তিকে সুকৌশলে চেতনানাশক প্রয়োগ করে। যাত্রী অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাদের সাথে থাকা নগদ টাকা, মোবাইলসহ মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যায়। ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশ এ ধরণের কয়েকটি ঘটনার তদন্তে নেমে এ চক্রগুলোর সন্ধান পায়। এ ধরনের অপরাধের সাথে জড়িত অন্যান্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।

তিনি বলেন, গ্রেপ্তারদের মধ্যে ২০ জনের বিরুদ্ধে চুরি, দস্যুতা, ডাকাতির প্রস্তুতি ও মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তাদের মধ্যে ২২ জনকে বিভিন্ন মামলায় জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। তাদের কাছ থেকে লোহার রড, দা, ছুরি, চাকু, চেতনানাশক ট্যাবলেট ও মলম জব্দ করা হয়।

এক প্রশ্নের জবাবে গোয়েন্দা পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ঢাকায় ডিজিটাল ডিভাইস চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা বেশি ঘটছে। বিশেষ করে যারা ছিচকে চোর-ছিনতাইকারী আছেন, তারা রাস্তায় মোবাইল, স্বর্ণালঙ্কার টান দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যান। তাদের অধিকাংশই মাদকসেবী।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by