বরিশাল

ঝালকাঠী শহরে কিশোর মাস্তানদের দৌড়াত্ম‍্য তুঙ্গে!

  প্রতিনিধি ৩ অক্টোবর ২০২০ , ৩:৫৩:১৯ প্রিন্ট সংস্করণ

ঝালকাঠি প্রতিনিধি:

ঝালকাঠী শহরে দিন দিন বেড়েই চলেছে কিশোর অপরাধীদের দৌরাত্ম্য । এই সব কিশোররা কোন না কোন ভাবে, কারো আশ্রয়ে ও কারো প্রশ্রয়ে নানাভাবে নাশকতা মূলক কাজ করে চলেছে।এই সব কিশোর মাস্তানরা কোন অপকর্ম করলেই স্থানীয় ২/৪ জন বড় ভাইয়েরা অথবা ২/৪ রাজনৈতিক নেতারা তাদের মুক্তির সব ব‍্যবস্হা করে দেন । অনেক সময় অনেক গুরুতর অপরাধও ধামাচাপা দিয়ে রাখেন, যার কারনে পুলিশের শত ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও এসব অপকর্ম, সব কিছুই অজানা থেকে যায় থানা পুলিশের। আর এভাবেই অপরাধীদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে এবং  মরন-নেশা মাদকে আসক্ত হচ্ছে এসব কিশোররা।
জানা গেছে ঝালকাঠির অনেক মহল্লায় অনেক অলি-গলিতে এইসব কিশোর মাস্তানদের দৌড়াত্ম‍্য! এই সব কিশোর মাস্তানরা কেউ কেউ রাজনৈতিক নেতাদের ছেলে কেউ কেউ ব‍্যাবসায়ীর ছেলে আবার কেউ কেউ পুলিশের ছেলে এমনকি কেউ কেউ জন প্রতিনিধির ছেলেও রয়েছে !  এই সব কিশোর ছেলেরা কিশোর গ্যাংয়ের নেতা হিসাবে কাজ করছে,প্রকাশ্যে মাদক নিচ্ছে আবার এরা মাঝে মাঝে শক্তি পরীক্ষার জন্য শহরে বেপরোয়া মোটর সাইকেল চালিয়ে শহরকে আতংক করে তুলছে ।  বতর্মানে এইসব কিশোর মাস্তানরা চুরি, বদমাশী, মেয়েদের হয়রানিমূলক কাজ, জমি দখল,চাঁদাবাজির মতো অপকর্ম  তারা প্রকাশ্যে করেই চলেছে! এইসব কিশোর মাস্তানদের কিন্তু বললেই, তারা বলে আমরা………. অমুক ভাইয়ের, অমুক নেতার লোক।
এসব কিশোর গ্যাংরা প্রকাশ্যে আড্ডাবাজি করলেও দেখা যায়না প্রশাসনের তৎপরতা, প্রশাসন বেশিরভাগ সময়ই নিরবতা পালন করে চলেছে। এরা ঝালকাঠী সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান গেট, স্কুলের মাঠ, স্কুলের ভিতরে এবং কিছু কিছু মহল্লার অলি-গলিতে মাদকের মহরা বসিয়ে থাকে।তাছাড়া শিল্পকলা একাডেমীর পিছনে নির্বাচন অফিসের আশেপাশেও এদের দখলে। পৌর মিনি পার্কে এদের প্রেম ঘটিত বিষয় নিয়ে প্রায়ই সংঘর্ষের উপক্রম হয়ে থাকে।
আবার ইয়াবা, প্যাথেডিন, গাজা, ও শারিরিক সম্পর্ক করার জন্য নিরাপদ স্থান হিসেবে বেছে নিয়েছে “মসজীদ বাড়ী সরকারী প্রাঃ বিদ্যালয়ের” পিছনে। এখানে পালানোর জন্য রয়েছে দুটি পথ। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মাদক গ্রহনের বিভিন্ন উপাদান।
স্থানীয়রা জানান আমরা ঘরে বসে এদের অপকর্ম দেখলেও কিছু বলতে পারিনা। পুলিশও এখানে দেখা যায় না। বতর্মানে বেশিরভাগ সময়ই দেখা যাচ্ছে এসব কিশোর মাস্তানরা  বাসা থেকে মোবাইল চুরি, টাকা চুরি, সাইকেল চুরি করে চলেছেই । প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিলেও কোন  সুরাহা পাওয়া যায় না ।
এছাড়াও ঝালকাঠী শহরের আনাচে,কানাচে গড়ে উঠেছে অনেক অনেক এ ধরনের  কিশোর গ্যাংদের আস্তানা !
 এখুনি এসব কিশোর মাস্তানদের আইনের আওতায় এনে ঝালকাঠী শহরকে সন্ত্রাস মুক্ত রাখার জন্য, ঝালকাঠির প্রশাসন এবং ঝালকাঠীর অভিভাবক, সাবেক খাদ্য ও শিল্প মন্ত্রী, আমির হোসেন আমু (এমপি)’র দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন ঝালকাঠি শহরে বসবাসরত সাধারন মানুষ।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by