খুলনা

ঝিনাইদহে এলসি আতঙ্কে মিলাররা, কমেছে চাউল বিক্রি

  প্রতিনিধি ৮ আগস্ট ২০২১ , ৭:২৩:১১ প্রিন্ট সংস্করণ

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:

এলসি আতঙ্কে ঝিনাইদহের মিলারদের চাউল বিক্রি অনেকাংশেই কমে গেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। গেল দশ দিনে বিক্রির পরিমাণ কমেছে গড়ে ৭০ ভাগ। চালের দামও মোটা-চিকোন ভেদে কমেছে গড়ে দুই টাকা। ফরিদপুর, বরিশালসহ বিভিন্ন স্থানে বড় বড় মোকাম মালিকরা কমিয়ে দিয়েছে চাউল ক্রয়। ফলে লোকসানের শঙ্কায় রয়েছে চাউল ব্যাবসায়ীরা।

সারা বাংলাদেশে চাউল উৎপাদনে অন্যতম স্থান দখল করে আছে ঝিনাইদহ। এখানে ছয় উপজেলায় ১৫ অটো রাইস মিল এবং পাঁচ শতাধীক হাস্কিং মিল রয়েছে। এরমধ্যে সদর উপজেলার ডাকবাংলা ত্রিমোহনী এলাকায় রয়েছে সব থেকে বেশী চাউল মিল। এসব মিল থেকেই প্রতিদিন হাজার হাজার টন চাউল যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন এলাকায়। কিন্তু গেল বেশ কিছুদিন কমে এসেছে চাউল বিক্রির পরিমান।

সরকারের খাদ্য মন্ত্রনালয়ের চাউলের বাজার দর নিয়ন্ত্রণে এলসি’র মাধ্যমে চাউল আমদানী করা হবে এমন আতঙ্কে বিভিন্ন এলাকার বড় বড় মোকাম মালিকরা না আসায় এমন পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
ডাকবাংলা এলাকার অন্যতম ব্যবসায়ী মিল মালিক আক্তার হোসেন ভান্ডারী জানান, বেশ কিছুদিন ধরেই ব্যবসা অত্যন্ত মন্দা যাচ্ছে। বেচা-বিক্রি অনেক কমেছে। এমনিতে সব জায়গা এলসি আতঙ্ক বিরাজ করছে। তারপরও যদি এলসি’র চাউল দেশে প্রবেশ করে তাহলে আমাদের ব্যবসায়ীদের লাখ লাখ টাকা লোকসান গুনতে হবে।

জেলা চালকল মালিক সমিতির সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, করোনার মধ্যে ব্যবসা এমনিতে মন্দা যাচ্ছে। তার উপর চাউলের বিক্রি কমেছে। অনেকেই বেশী দামে ধান কিনে রেখেছে। ফলে এভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে ব্যবসায়ীদের ক্ষতির শেষ থাকবে না। তাই বাজার দাম নিয়ন্ত্রনের জন্য হোক বা যে কারনেই হোক সরকার যদি এলসি’র মাধ্যমে চাল আমদানী করে তাহলে যেন ব্যবসায়ীদের দিকটা বিবেচনা করা হয়। কেননা বেশী দামে ধান কিনলে চাল উৎপাদন খরচ স্বাভাবিক ভাবেই বেশী হবে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by