প্রতিনিধি ১৫ অক্টোবর ২০২৩ , ৪:৪২:৫০ প্রিন্ট সংস্করণ
বাংলাদেশের সক্ষমতার আজ যে অনন্য মাত্রা সেটি কেবল সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের ফলে। একের পর এক বিষ্ময়কর প্রকল্প চালুর মাধ্যমে দেশের আত্মমর্যাদা শুধু বাড়েনি, স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের মাথা উঁচু করে বাঁচবার উদাহরণ বিশ^বাসী প্রত্যক্ষ করেছে। এ ধারা অব্যহত রাখতে সকল ষড়যন্ত্র ভেদ করে আবারও জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব বাংলাদেশে প্রয়োজন বলে দাবি করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
রোববার (১৫ অক্টোবর) চট্টগ্রাম বন্দরের নতুন ইক্যুইপমেন্ট উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, চট্টগ্রামের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতা অতুলনীয়। চট্টগ্রাম বন্দরকে আধুনিকায়ন করেই তিনি থেমে থাকেননি, এশিয়ার বিষ্ময় হিসেবে তিনি গড়ে দিয়েছেন টানেল। যে টানেল উদ্বোধন হলে শুধু চট্টগ্রাম নয়, পুরো দেশের চিত্রই আমূল বদলে যাবে। টানেল করার চিন্তা এবং কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রীর একার বলেও তিনি দাবি করেন। টানেল এ মাসেই উদ্বোধন হবে বলে তিনি জানান।
বন্দরের এনসিটি বার্থে বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মোস্তফা কামাল।
উদ্বোধন করা ইক্যুইপমেন্টের তালিকায় রয়েছে ২০২২ সালে সংগ্রহ করা ২৪৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকার ৪টি কি গ্যান্ট্রি ক্রেন, ৭০ কোটি ৮৩ লাখ টাকার ৬টি রাবার টায়ার গ্যান্ট্রি ক্রেন, ৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকার ২টি কনটেইনার মোভার। ২০২৩ সালে সংগ্রহ করা ১৪ কেটি ১৩ লাখ টাকার ৪টি রিচ স্টেকার, ২৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকার ৪টি ভেরিয়েবল রিচ ট্রাক, ২০২১ সালে সংগ্রহ করা ২০ কোটি ৯ লাখ টাকার ১০০ টন ক্ষমতার ২টি মোবাইল ক্রেন, ১১ কোটি ৪৪ লাখ টাকার ৫০ টন ক্ষমতার ২টি মোবাইল ক্রেন।
প্রতিমন্ত্রী সকালে চট্টগ্রামে ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউটের (এনএমআই) ২৫তম ও এনএমআই, মাদারীপুরের ১৪তম ব্যাচের পাসিং আউট অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন।