দেশজুড়ে

ডেঙ্গু: ঢাকায় সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ গোড়ান-বাসাবো

  প্রতিনিধি ২২ আগস্ট ২০২১ , ৯:০৯:৫৫ প্রিন্ট সংস্করণ

ডেঙ্গু: ঢাকায় সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ গোড়ান-বাসাবো

ভোরের দর্পণ ডেস্ক:
কোনো এলাকায় এইডিস মশার ঘনত্ব পরিমাপের একক ব্রুটো ইনডেক্স ২০ এর বেশি হলেই তাকে ঝুঁকিপূর্ণ উপস্থিতি বলা যায়। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসাবো ও গোড়ান এলাকার ব্রুটো ইনডেক্স ৭৩ দশমিক ৩।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এইডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় গত ২৯ জুলাই থেকে ৭ অগাস্ট পর্যন্ত ১০ দিন ধরে জরিপ চলে।

রোববার সংবাদ সম্মেলন করে জরিপের ফলাফল উপস্থাপন করেন জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এইডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির উপ ব্যবস্থাপক ডা. আফসানা আলমগীর খান।
এছাড়া বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা ও নিকুঞ্জ নিয়ে গড়া ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের ব্রুটো ইনডেক্স ৪৮ দশমিক ৪, ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কল্যাণপুর ও দারুস সালাম এলাকায় ৪৬ দশমিক ৭, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়ায় ৪৩ দশমিক ৩ এবং মহাখালী ও নিকেতন এলাকা নিয়ে ডিএনসিসির ২০ নম্বর ওয়ার্ডে ৪০।

ডেঙ্গু: ঢাকায় সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ গোড়ান-বাসাবো

উত্তর সিটি করপোরেশনের আফতাবনগর ও মেরুল বাড্ডা এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বংশালের ব্রুটো ইনডেক্স শূন্য পাওয়া গেছে জরিপে, অর্থাৎ এসব এলাকায় মশার উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।

রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের ৯৮টি ওয়ার্ডের ১০০টি স্থানে জরিপ চালানো হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা উত্তরের ৪১টি এবং দক্ষিণের ৫৯টি।

জরিপের সময় এসব এলাকার ৩ হাজারটি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করা হয়। ২ হাজার ৪১২টি বাড়ি ও স্থাপনায় এইডিস মশা পাওয়া যায়নি। ৫৮৮টি স্থানে এইডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। অর্থাৎ মোট পরিদর্শন করা বাড়ির ১৯ দশমিক ৬০ শতাংশে এইডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে।

জরিপে যতগুলো বাড়ি পরিদর্শন করে মশার উপস্থিতি পাওয়া গেছে শতকরা ১৯ দশমিক ৬০ শতাংশ বাড়ির মধ্যে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যে দেখা গেছে, গত বছরের চেয়ে এ বছর মশার উপস্থিতি বেশি। এ বছর ডিএসসিসির ৩০টি এবং ডিএনসিসির ২৬টি এলাকার ব্রুটো ইনডেক্স ২০ এর বেশি পাওয়া গেছে।

২০২০ সালের জরিপে ডিএসসিসির ১৭টি এবং ডিএনসিসির ৯টি এলাকার ব্রুটো ইনডেক্স ২০ এর বেশি পাওয়া গিয়েছিল।

এবিষয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ডা. কবিরুল বাশার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মশার এই ঘনত্ব ঝুঁকিপূর্ণ।

“জরিপে ৫৬টি এলাকায় ব্রুটো ইনডেক্স ২০ বা তার বেশি পাওয়া গেছে। মানে এখানে এইডিস মশাবাহিত রোগ হবে এবং তাই হয়েছে। এসব জায়গা থেকে প্রচুর ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গেছে।”

এইডিস মশার এই বৃদ্ধির পেছনে নগর কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি নাগরিকও দায় আছে বলে মনে করেন তিনি।

“নগরবাসী তার দায় এড়াতে পারেন না। যার যার বাড়ি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা তো বাড়ির বাসিন্দাদের দায়িত্ব। যার যার আঙিনা পরিষ্কার রাখলেই এইডিস মশা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।”

আরও খবর

Sponsered content

Powered by